

আবাহনীর সমান পয়েন্ট নিয়েই ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) ২০২২-২৩ এর সুপার লিগে এসেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তবে সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে বড় পরাজয়ে শিরোপা স্বপ্নের দৌড়ে হোচট খায় দলটা। তবে দ্রুত সামলে নিয়ে ২য় ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার বিকেএসপি (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) ৩ নম্বর গ্রাউন্ডে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে তারা হারিয়েছে ৮৫ রানের ব্যবধানে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আবার জয়ের ধারায় ফেরে নুরুল হাসান সোহানের দল।
টসে হেরে আগে ব্যাট করা শেখ জামাল বৃষ্টি বাগড়ার আগে ৪৭ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায়। যেখানে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে তারা।
দলের পক্ষে ফিফটি করেন ওপেনার সৈকত আলি, তিনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও চারে নামা কাজী নুরুল হাসান সোহান। তবে নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতে পারেন ফজলে রাব্বি। ৪৭ ওভারে যখন দলের ইনিংস শেষ হয়, তখন তার রান অপরাজিত ৯৩! ইনিংস ৫০ ওভারের হলে সেঞ্চুরির সুযোগ পেতে পারতেন ৬ চার ও ৫ ছয়ে ইনিংস সাজানো রাব্বি।
মোহামেডানের পক্ষে বল হাতে ২ উইকেট নেন শ্রীলঙ্কান রিক্রুট কামিন্দু মেন্ডিস। ১ উইকেট যায় সৌমাই সরকারের দখলে।
তবে যেই ব্যাটিংয়ে সৌম্য সরকারের সার্ভিস আশা করে দল সেখানেই বাঁধে বিপত্তি। ভালো শুরু পেয়েও ৩২ বলে ২২ রানের বেশি করতে পারেননি সৌম্য। ওপেন করতে নামা আরিফুল তো ফিরেছিলেন শুন্য হাতে। তিনে নামা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। ৩৮ বলে ৩৩ রান করে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে। ৬২ বল খেলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ইনিংস সাজান তিনি। সাতে নেমে ১৩ বলে ১ চার ও ৪ ছয়ে ৩২ রানের ক্যামিও খেলেন আরিফুল হক। তাতেও অবশ্য কাজের কাজ হয়নি।
৪০.৫ ওভারে ১৯১ রানেই গুটিয়ে যায় মোহামেডান। শেখ জামালের পক্ষে ৪ উইকেট নেন তাইবুর রহমান। ৩ শিকার আরিফ আহমেদের। ২ উইকেট নেন পারভেজ রাসুল, ১ শিকার শহিদুল ইসলামের।
বৃষ্টি আইনে ৪৭ ওভারে মোহামেডানের লক্ষ্য ছিল ২৭৭, তাই দলটি হারে ৮৫ রানের ব্যবধানে। ম্যাচ সেরা হন ফজলে মাহমুদ রাব্বি।