

আজকের আগে ১০৫ টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলে ফেললেও কোন সেঞ্চুরির দেখা পাননি আফিফ হোসেন ধ্রুব। বৃহস্পতিবার (৪ মে) ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে ১০৬ তম্ম ম্যাচে এসে অবশেষে তিন অঙ্কের রানের সাথে আফিফের দেখা। এই বাহাতির সেঞ্চুরি খরা কাটার দিনে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৪২ রানে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড, এগিয়ে গেছে শিরোপার আরও কাছে।
টসে হেরে এদিন আগে ব্যাট করে আবাহনী। দলের রান ১০০ ছোঁয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ নাইম শেখ ও তিনে নামা মাহমুদুল হাসান জয়।
৯০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত চারে নামা আফিফ হোসেন ধ্রুবর সঙ্গে গড়েন ১৪০ রানের জুটি। আগের ম্যাচের ম্যাচসেরা সৈকত এদিন খেলেন ৭৬ বলে ৬৭ রানের ইনিংস।
সৈকত ফিরলেও শেষ অব্দি ব্যাট করেন আফিফ। ১০১ বলে ৬ চার ও ৫ ছয়ে ১১১ রান করে থাকেন অপরাজিত। আবাহনীর ইনিংস থামে ২৮৫ রানে, ৫ উইকেটের লোকসানে।
View this post on Instagram
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে ২ টি করে উইকেট নেন শেখ মেহেদী হাসান ও কাশিফ ভাট্টি। ১ টি শিকার রেজাউর রহমান রাজার।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শাহাদত হোসেন দিপুর উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। তবে অপর ওপেনার জাকির হাসান তুলে নেন ফিফটি, ৫৪ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৫১ রান করে আউট হন তিনি।
তিনে নামা প্রান্তিক নওরোজ নাবিল খেলেন ৭৪ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। এই অব্দি ঠিকই ছিল। এরপর দ্রুত মোহাম্মদ মিঠুন, নাসির হোসেন, আল আমিন জুনিয়ররা ফিরলে চাপে পড়ে প্রাইম ব্যাংক।
শেষদিনে শেখ মেহেদী হাসান ২৪ বলে ২৬, অলক কাপালি ৪০ বলে ৪০*, কাশিফ ভাট্টি ২৮ বলে ২৬ করলে তা কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পারে।
৪৫.৪ ওভারে ২৪৩ রানে অলআউট হয় প্রাইম ব্যাংক, আবাহনী ম্যাচ জেতে ৪২ রানে।
বল হাতে আবাহনীর সফলতম খেলোয়াড় খুশদিল শাহ। ৪৯ রান খরচে ৬ উইকেট নেন তিনি। তবে অপরাজিত সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার নিজের করে নেন আফিফ।