

পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দুই ম্যাচ বাকি থাকতে প্রথম তিন জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান। ২০১১ সালের পর এই প্রথম ওডিআইতে নিউজিল্যান্ডের সাথে সিরিজ জিতল পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ৯০ রানের ইনিংস খেলা ইমাম উল হকের হাতে উঠল ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
করাচিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড ক্যাপ্টেন টম লাথাম। আগের ৩ ম্যাচে টানা ৩টি সেঞ্চুরি করা ফখর জামান মাত্র ১৯ করে আউট হওয়াটা ভালো লাগার বিষয় না হলেও তার জন্য সুখবর ছিল মনে রাখার মতো। ওডিআই র্যাংকিংয়ে ৮ নম্বর থেকে ২ এ উঠে আসেন তিনি। ১ নম্বরে আছেন তারই সতীর্থ বাবর আজম।
ফখর জামানের আউটের পর বাবর আজম এবং ইমাম উল হক মিলে বেশ বড়সড় জুটি গড়েন। ইমাম ৯০ করে ইনসাইড এজে আউট হন। ব্যক্তিগত ৫৪ রানে ম্যাট হেনরির বলে বোল্ড হন বাবর আজম।
মিডল অর্ডারে আবদুল্লাহ শফিক, আঘা সালমান, মোহাম্মদ রিজওয়ান ছোট ছোট ইনিংস খেলে ফিরে গেছেন সাজঘরে। শেষে শাদাব খানের ১০ বলে ২১ রানের ইনিংসে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২৮৭।
নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হ্যানরি এবং অ্যাডাম মিলনে পান ২টি করে উইকেট এবং ম্যাককঞ্চি পায় ১টি উইকেট।
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার। ৮৩ রানের জুটি ভাঙে উইল ইয়াং রান আউট হলে। আরেক ওপেনার টম ব্লান্ডেলও ৬৫ করে রান আউটের শিকার।
এরপর টম লাথাম ৪৫ রান করে দলকে খেলায় টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করেন। কিন্ত তার আউটের পর মার্ক চাপম্যান, হেনরি, নিকোলসরা ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেনি।
যখন দলের অন্য ব্যাটারদের উইকেটে টিকে থাকার লড়াই চলছিল, অন্য প্রান্তে বেশ সাবলীল ভাবে ব্যাটিং করো গেছেন ম্যাককঞ্চি। ৪৫ বলে ৬৫ করে দলকে জেতাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্ত তার সাথে জুটি গড়ে রান করতে ব্যর্থ বাকি ব্যাটাররা। ৫ বল বাকি থাকতেই ২৬১ রানে গুটিয়ে যায় কিউই ব্যাটিং লাইন।
বল হাতে পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম সাহ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র শিকার করেন ২টি করে উইকেট এবং বাকি একটি উইকেট নিয়েছেন আঘা সালমান।