

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) ২০২২-২৩ এর সুপার লিগে টেবিল টপার হিসাবেই এসেছিল ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী লিমিটেড। সুপার লিগে এসে প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে গেল আবাহনী।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর ম্যাচে উত্তাপ ছড়িয়েছে। তবে সাকিববিহীন মোহামেডান শেষ হাসি হাসতে পারেনি। ২৫৯ রানের লক্ষ্যে খেলে ৯ উইকেটে ২৫০ রান করতে সমর্থ হয় ইমরুল কায়েসের দল।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামা আবাহনীর ব্যাটিং শুরুতে একেবারেই ভালো হয়নি। ওপেনার এনামুল হক বিজয় এবং নাইম শেখ দুজনেই বড় রান করতে ব্যর্থ হয়ে অতি দ্রুত সময়ে ফিরে যান সাজঘরে। তিনে নামা মাহমুদুল হাসান জয় ২৩ বলে ১৯ করে খালেদ মাহমুদের বলে আরিফুল হকের কাছে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন।
দলের এ সংকটে হাল ধরেন মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। ৫০ ওভারের খেলায় বেশ ভালো পুঁজি সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছিলো আবাহনী।
জাকের আলি অনিকের ৮২ বলে ৬৩ এবং অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ৭০ বলে ৬৩ দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ডিপিএলে খেলতে আসা পাকিস্তানের খুশদিল শাহ উইকেটে খাবি খেতে খেতে ২৫ বলে ২৯ করে আউট হন। শেষে সাইফউদ্দিন এবং নাহিদুল ইসলাম কিছু রান করলে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৫৮।
মোহামেডানের বোলাররা আবাহনীর ব্যাটারদের শুরু থেকেই চাপে রেখেছেন। বড় কোনো জুটি বিপদজনক হওয়ার আগেই উইকেট ফেলেছেন। শুভাগত হোম এবং মুশফিক হাসান পেয়েছেন ২টি করে উইকেট এবং নাজমুল ইসলাম অপু এবং খালেদ আহমদের সাফল্য ১টি করে উইকেট।
২৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অনেকটা আবাহনীর পথ অনুসরণ করেই মোহামেডানের ওপেনাররাও ঠিক একই ঢংয়ে ব্যাট হাতে ব্যর্থ। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১ এবং সৌম্য সরকারের ৮ রান ছিল দুই ওপেনারের সংগ্রহ। তবে তিনে এসে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন দলের ভুল শুরুটা শুধরে নিয়েছিলেন। তার ৮৮ রানের ইনিংসে জয়ের দিশা খুঁজে পায় মোহামেডান।
দলের শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড় কামিন্দু মেন্ডিস ১ রান করে আউট হলে মিডল অর্ডারের আরেক ব্যাটার আরিফুল ইসলাম করেন ৩০ রান। সমালোচনার মুখে থাকা মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে অবশেষে রান।
৬৩ বলে ৫৪ করে মোসাদ্দেকের বলে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটের আরিফুল হক এবং শুভাগত হোম ক্রিজে থাকায় তখনও মোহামেডানের জয় সম্ভব ছিল। সাইফউদ্দিনের দুই বলে পরপর দুই ছয় মেরে সেই সম্ভাবনা একটা সময় সত্যি মনে হয়েছিল। কিন্তু সব সম্ভাবনার গুঁড়ে বালি দিয়ে রান আউটে কাটা পড়েন আরিফুল।
মুশফিক হাসান শেষ ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিরলে আর জয়ের আশা থাকেনি মোহামেডানের। ৮ রানের পরাজয় সঙ্গী করেই মাঠ ছাড়েন শুভাগত হোম (২১*) ও নাজমুল অপু (২*)।
আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক রান করার পাশাপাশি বল হাতেও নিয়েছেন ৪টি উইকেট। তানজিম হাসান সাকিব ৩টি উইকেট নিলে বাকি একটি উইকেট পান নাহিদুল ইসলাম। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন মোসাদ্দেক।