হায়দ্রাবাদের জয়ে টুর্নামেন্টে দিল্লির টিকে থাকা অনিশ্চিত

20230430 093858
Vinkmag ad

৮ ম্যাচের ৬ টিতেই দিল্লির পরাজয়। এমন সমীকরণে দিল্লি যে এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে তা একরকম নিশ্চিত। পয়েন্ট টেবিলের তলনি থেকে আর বেরিয়ে আসা হলো না ওয়ার্নার মুস্তাফিজদের।

দিল্লিতে হায়দ্রাবাদ ক্যাপ্টেন এইডেন মার্কারাম টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শুরু থেকে অভিষেক শর্মা উইকেট আগলে খেলে গেলেও বাকি প্রথম চার ব্যাটার রান করতে পারেন নি। এবারের আসরে মার্কারামের ব্যাট এখনো হাসে নি। মায়ঙ্কা আগারওয়াল, হ্যারি ব্রুক, রাহুল ত্রিপাঠিরা শুধু এসেছেন এবং গেছেন।

অভিষেক শর্মার ৩৬ বলে ৬৭ রানের ইনিংস ম্যাচে দারুণ প্রভাব রাখে। লোয়ার মিডল অর্ডারে হেনরিক ক্লাসেন একা দাঁড়িয়ে যান। তিনি ২৭ বলে ৫৩ করে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। শেষে আব্দুল সামাদ এবং আকিল হোসেনের ছোট ছোট ইনিংসে হায়দ্রাবাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৯৭।

বল হাতে দিল্লির হয়ে একাই প্রতিরোধ গড়ে তোলে মিচেল মার্শ। ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। বাকি দুই উইকেটের একটি করে পেয়েছেন ইশান্ত শর্মা এবং আক্সার পাটেল।

দিল্লির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নার হতাশ করেছেন। রানের খাতা খোলার আগেই ভুবনেশ্বরের বলে বোল্ড হন। আরেক ওপেনার ফিল সল্ট তখন দলের দায়িত্বটা বুঝে নেন। করেন আইপিএল ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম ফিফটি।

ফিল সল্টের সাথে ১১১ রানের জুটি গড়ে ম্যাচটা নিজেদের মতো করে এগোচ্ছিলেন মিচেল মার্শ। তার ৩৯ বলে ৬৩ রানের ইনিংসটা দিল্লিকে জয়ের আশা দেখাচ্ছিল। তবে সল্ট-মার্শ জুটি ভাঙলে মিডল অর্ডারে কেও আর ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারে নি। দিল্লির ব্যাটিং লাইন আপে চির ধরে।

দলের কঠিনতম মুহূর্তে আক্সার পাটেল ১৪ বলে ২৯ করে শেষ চেষ্টাটুকু করেছিলেন। কিন্ত দলকে জেতাতে তার এ চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ১৮৮ রানে ৬ উইকেটে দিল্লির ইনিংস সমাপ্তি হয়। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ জিতে যায় ৯ রানে।

হায়দ্রাবাদের বোলার উমরান মালিক ১ ওভারেই ২২ রান দিয়ে বসেন। তাই ক্যাপ্টেন মার্কারাম উমরানকে আর বোলিংয়ে ডাকেন নি। উমরান মালিক বাদে বাকি বোলাররা সবাই উইকেট পেয়েছে। ম্যাচটা হায়দ্রাবাদ জিতলেও ম্যাচ সেরা ঘোষণা করা হয় দিল্লি ক্যাপিটালসের মিচেল মার্শকে।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

৮ ম্যাচে ৬ জয়ে গুজরাট টাইটান্স নতুন টেবিল টপার

Read Next

ফখরের ১৮০’তে পাকিস্তানের বড় জয়

Total
0
Share