

শিরোপা ধরে রাখর লড়াইয়ে গুজরাট যেনো আগের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। টানা তিন জয়ে পয়েন্ট তালিকায় ফের এক নম্বরে চলে আসলো গুজরাট টাইটান্স।
ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় হার্দিক পান্ডিয়া। কলকাতার ওপেনিংয়ে আজও পরিবর্তন। রয়ের পরিবর্তে রহমানুল্লাহ গুরবাজ একাদশে সুযোগ পেয়ে নারায়ন জগদীশানের সাথে কলকাতার ইনিংস সূচনা করেন। তবে লিটন কুমার দাস পারিবারিক অসুস্থতার কারণে আইপিএলের মাঝপথে দেশে ফিরে না আসলে আজ তাকেই পার্পেল জার্সি গায়ে মাঠে নামতে দেখার সম্ভাবনা বেশি ছিল।
লিটন না থাকার সুবাদে গুরবাজ দলে জায়গা পেয়েই করলেন বাজিমাত। ৩৯ বলে ৮১ রানের নজরকাড়া ইনিংস খেলে একাদশে নিজের জায়গাটা পাকাপোক্ত করে নিলেন। ৮৮ রানে ৪ উইকেট পড়লেও গুরবাজ তার সেরাটা দিয়ে কলকাতার হোম ভেন্যু মাতিয়ে তোলেন। অবশেষে আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে রান। ১৯ বলে তার করা ৩৪ রান ম্যাচে দারুণ প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া রিংকু সিং ২০ বলে ১৯ করে রানের গতি সামাল দিতে চেষ্টা করেছেন। ইনিংস শেষে কলকাতার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৯।
দিনটা মোটেও ভালো যায় নি রাশিদ খানের। আইপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রান হজম করেন তিনি। অন্যদিকে তারই স্বজাতি নুর আহমেদ ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে পান ২টি উইকেট। সমান ২টি উইকেট নেন জশুয়া লিটল। এছাড়া মোহাম্মদ শামি সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান।
গুজরাটের হয়ে ওপেনিং সমস্যাটা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারে নি ঋদ্ধিমান সাহা। এই আসরে এখনো জ্বলে উঠতে পারে নি তিনি। আজকের ম্যাচেও মাত্র ১০ করে বিদায় হন ঋদ্ধিমান সাহা। আরেক ওপেনার শুভমান গিল ১ এর জন্য অর্ধশতক মিস করেন।
হার্দিক পান্ডিয়া দেখেশুনে খেলে গেলেও ২৬ করে হার্শাল পাটেলের বলে এলবিডব্লিউতে কাটা পড়েন। এবারে বাকি খেলা পরের উইকেটে বিজয় শঙ্কর এবং ডেভিড মিলার খেলে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। বিজয় শঙ্করের ২৪ বলে ৫১ রান এবং মিলারের ১৮ বলে ৩২ এর উপর ভর করে ১৩ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জেতে গুজরাট টাইটান্স।
কলকাতার হারশীত রানা, সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল পান ১টি করে উইকেট। গুজরাটের ৭ উইকেটের এ জয়ে ম্যাচ সেরা হন জশ লিটল।