রানবন্যার ম্যাচে পার্থক্য গড়লেন মার্কাস স্টয়নিস

রানবন্যার ম্যাচে পার্থক্য গড়লেন মার্কাস স্টয়নিস
Vinkmag ad

আইপিএলের ইতিহাসে ২০১৩ তে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ২৬৩ করেছিলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ক্রিস গেইলের ১৭৫ রানের ইনিংস কেই বা ভুলতে পেরেছে। সেদিন এক গেইল তান্ডবে উড়ে গিয়েছিলো পুনে ওয়ারিয়র্স। ১০ বছর পর সেই রেকর্ড ভাঙতে যারপরনাই চেষ্টা করেছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। তবে মজার বিষয় সেদিন গেইল রীতিমতো একা খেলে বিশাল এই রান স্কোরবোর্ডে দাঁড় করিয়েছিলো। আর আজ লখনৌর ব্যাটারদের নেই কোনো সেঞ্চুরি, তবুও দলীয় পার্ফম্যান্সে আইপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫৭ রান করে তারা।

মোহালিতে টস জিতে বোলিং নেয়ার সময় পাঞ্জাব বোলাররা তখনো আন্দাজ করতে পারে নি তাদের জন্য আজ কি অপেক্ষা করছে। দল ভালো করলেও কোনোভাবেই নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না লোকেশ রাহুল। মাত্র ১২ করে রাবাদার গতিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তবে অপরপ্রান্তে কাইল মায়ার্স আজও অপ্রতিরোধ্য। ২৪ বলে ৫৪ করে তিনিও রাবাদার বলেই আউট হন।

২ উইকেট খসলেও পাওয়ারপ্লে শেষে রান উঠে ৭৪। ৭.৪ বলেই স্কোরবোর্ডে রান ১০০ পৌঁছে যায়। তখনো খেলা অর্ধেকের বেশি বাকি। মিডল অর্ডারের তিনজন তখন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছেন রান করতে।

আয়ূশ বাদোনির ২৪ বলে ৪৩, মার্কাস স্টয়নিসের ৪০ বলে ৭২, শেষে নিকোলাস পুরানের ১৯ বলে ৪৫ এর ঝড়ো ইনিংস শুধু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোরকে চোখ রাঙাচ্ছিলো। শেষে পাঁচ উইকেটে ২৫৭ করে লখনৌর ইনিংস থামলে ব্যাঙ্গালুরু ফ্যানসরা যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচে।

পাঞ্জাবের বোলারদের অসহায় আত্মসমর্পণ বেশ ভুগিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিটিকে। বোলাররা শুধু বল করেছেন আর একে একে চার ছয় হজম করে গেছেন। রাবাদার ২টি এবং আর্শদীপ সিং, স্যাম কারেন, লিয়ম লিভিংস্টোনের ১টি উইকেট ছিল সামান্য যা অর্জন।

পাহাড়সম রান লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে শুরুতেই হিমশিম খাচ্ছিলো পাঞ্জাব। প্রথম ওভারেই ক্যাপ্টেন শিখর ধাওয়ানের উইকেট খুইয়ে বসে দলটি। আরেক ওপেনারও বেশিক্ষণ টিকতে পারে নি। দলীয় ৩১ রানের মাথায় আউট হন।

তৃতীয় উইকেটে অর্থভ তাইদি এবং সিকান্দার রাজার ৭৮ রানের জুটি ম্যাচে লখনৌর একচ্ছত্র আধিপত্য কিছুটা কমিয়ে দিয়েছিল। পাঞ্জাবের মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও বড় বড় শট খেলে ম্যাচ ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে। কিন্ত লিভিংস্টোন, স্যাম কারেন, জিতেশ শর্মা কেউই তাদের ইনিংস বড় করতে পারে নি। ১ বল বাকি থাকতেই পাঞ্জাব ২০১ রানে অলআউট হয়।

এত বড় রানের ম্যাচে নিশ্চিত জয় জেনেই রাহুল ৯ জন বোলার ব্যবহার করেন আজ। যেখানে ইয়াশ ঠাকুর ৪টি, নাভীন উল হক ৩টি, রাবি বিষ্ণয় ২টি এবং মার্কাস স্টয়নিস পেয়েছে ১টি উইকেট। জায়ান্টসদের ৫৬ রানের জয়ে ম্যাচ সেরা মার্কাস স্টয়নিস।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

ম্যাচ সেরা হয়েও স্বস্তিতে নেই স্টয়নিস

Read Next

সিলেটে গিয়ে সবকিছুতে খুশি হাথুরুসিংহে

Total
0
Share