

জয়পুরে বৃহস্পতিবার বড় ম্যাচে মুখোমুখি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল। রাজস্থান রয়্যালস ক্যাপ্টেন সাঞ্জু স্যামসন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
ব্যাটিংয়ে রাজস্থানকে ভালো শুরু এনে দেন জস বাটলার এবং যশ্বসী জয়সওয়াল। পাওয়ারপ্লেতে আসে বিনা উইকেটে ৬৪ রান। বাটলার জাদেজার বলে ২৭ করে আউট হলে তখনও নিজের টি টোয়েন্টি মেজাজের ব্যাটিং বজায় রেখেছেন জয়সওয়াল। এবারে তাকে সঙ্গ দিতে হাজির সাঞ্জু স্যামসন।
মিডল অর্ডারে আজ ধরে খেলতে পারেন নি সাঞ্জু স্যামসন এবং শিমরন হেটমায়ার। অন্যদিনে ফিনিশিংয়ের দায়িত্বে থাকা হেটমায়ার আজ একটু উপরে খেলতে নামলে সুবিধা করতে পারেন নি। স্যামসন ১৭ আর হেটমায়ার ৮ করে বিদায় হন। ততক্ষণে ৪৩ বলে ৭৭ রানে থামে জয়সওয়ালের ইনিংস।
শেষদিকে তরুন দুই দেশী খেলোয়াড়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে রাজস্থান পায় বড় সংগ্রহ। ধ্রুব জুরেল ১৫ বলে ৩৪ করে রান আউট না হলে স্কোরবোর্ডে রানের তালিকা হয়তো আরও লম্বা হতো। দেবদূত পাডিকেলের ১৩ বলে ২৭ সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে রাজস্থানের দলীয় ২০২ রানে।
ধোনির নেতৃত্বে বোলিংয়ে শুরুতে রাজস্থানের ব্যাটারদের বাগে আনতে না পারলেও শেষ ১০ ওভারে রাজস্থান ব্যাটারদের কম রানে আটকানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু তারা করেছে। ম্যাচে তুষার দেশপান্ডে ২টি, মাহেশ থিকশানা এবং রবীন্দ্র জাদেজা পান ১টি করে উইকেট।
ব্যাটিংয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের দুই ওপেনার নিজেদের মতো স্বচ্ছন্দে খেলে যান। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার শেষ বলে ডেভন কনওয়ে ফিরলেও অপর প্রান্তে নিজের ছন্দে খেলা চালিয়ে যান রুতুরাজ গায়কোয়াড়। অল্পের জন্যে অর্ধশতকটা মিস করে আ্যাডাম জ্যাম্পার বলে আউট হন।
চেন্নাইকে আগের ম্যাচ জেতানো আজিঙ্কা রাহানের ব্যাট আজ ছিল বড়ই নিশ্চুপ। ১৫ করে আউট হন তিনি। আম্বাতি রায়ডু নিজের ইনিংস শুরু করার আগেই হাঁটেন প্যাভিলিয়নের দিকে।
চেন্নাইকে এমন বিপদ থেকে বাঁচাতে ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরেন শিভাম দুবে। ৩৩ বলে ৪২ রানের ইনিংসটা যদি আরেকটু বাড়ানো যেতো তবে ম্যাচের ফলাফলটাও চেন্নাইয়ের দিকে যেত। এদিকে মইন আলির ১২ বলে ২৩ রানে চেন্নাইয়ের ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা না বাড়লেও আইপিএল ক্যারিয়ারে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। শেষে জাদেজার ১৫ বলে ২৩ রানের পর ২০ ওভার খেলে ৬ উইকেটে ১৭০ করে চেন্নাই।
রাজস্থানের আ্যাডাম জ্যাম্পা একাই ৩টি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন নেন ২টি উইকেট। ম্যাচ সেরা হন যশ্বসী জয়সওয়াল।