
কোলকাতার হোম অব ক্রিকেট গ্রাউন্ড ইডেন গার্ডেন্সে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্তটা সুবিধাজনক মনে করেন নিতিশ রানা। তবে অধিনায়ক সে সুবিধার কিঞ্চিৎ মাত্র কাজে লাগাতে পেরেছে কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
চেন্নাইয়ের দুই ওপেনারের ভালো শুরু। প্রতি ওভারেই ১০ এর উপরে রান আসতে থাকে। পাওয়ারপ্লেতে বিনা উইকেটে দুই ওপেনার করেন ৫৯ রান। রুতুরাজ গায়েকোয়াড় ৩৫ করে বিদায় নিলেও আগের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন ডেভন কনওয়ে। তুলে নেন আরেকটি অর্ধশতক।
এবারে আজিঙ্কা রাহানের ব্যাটিং ঝড় কোলকাতার বোলাররা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছেন। ২৪৪ স্ট্রাইক রেটে ২৯ বলে ৭১* রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসে চেন্নাইয়ের স্কোররোর্ডে রানের ফোয়ারা। তার সাথে যোগ দেন আরেক ব্যাটার শিবাম দুবে। ২১ বলে নিজে অর্ধশতক পূরণ করে বিদায় নেন।
রাবিন্দ্র জাদেজার ৮ বলে ১৮ রানের ফিনিশিংয়ে চেন্নাই ২৩৬ রানের বিশাল টার্গেট ছুঁড়ে দেয় রাজস্থানকে।
অনভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন ৭ জন বোলারকে খেলিয়েও কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি। এ দিনে এক ম্যাচ সুযোগ পাওয়ার পরই একাদশে লিটনের পরিবর্তে খেলানো হয় ডেভিড ভিসাকে। ৩ ওভারে দেন ৩৮ রান, ছিলেন উইকেটশূন্য। কুলবন্ত খেজোরলিয়া ২টি এবং সুয়াশ, ভরুনের ১টি উইকেট ছাড়া বাকি বোলাররা শুধু বল হাতে ছয় চার হজম করে গেছেন।
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ফের পরিবর্তন ওপেনিং জুটিতে, ফের ব্যর্থ তারা দুজনই। পরপর দুই ওভারে নারায়ম জগদীশান এবং সুনীল নারাইন আউট হন৷ ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ওয়ান ডাউনে নেমে করা ২০ রান এবং ক্যাপ্টেন নিতিশ রানার ২৭ কোলকাতার ম্যাচ ভাগ্য আহামরি কোনো পরিবর্তনের আভাস দেয় নি। ৬ ওভারে তখন ওদের সংগ্রহ ২ উইকেটে মোটে ৩৮।
মিডল অর্ডারে দাঁড়িয়ে যায় রিংকু সিং এবং জেসন রয়। তাদের জুটি বেশ ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল। জেসন রয় ৬১ করে আউট হলেও রিংকু শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে জয়ের জন্য লড়ে যান। তবে অপরদিক থেকে আন্দ্রে রাসেল, ডেভিড ভিসারা ব্যর্থ হলে ৪৯ রানে হেরে যায় কলকাতা।
ক্যাপ্টেন ধোনির ম্যাচের মতিগতি বুঝে ব্যবহার করা ৬ বোলারের সবাই উইকেট পেয়েছে। তবে এ ম্যাচের সেরা পুরস্কার আজিঙ্কা রাহানে জিতে নেন।