

টুর্নামেন্টে রাজকীয় শুরুর পর টানা দুই ম্যাচ হেরে দুশ্চিন্তার কোনো ভাবলেশ মাত্র নেই রাজস্থানের ডেরায়। আজ ব্যাঙ্গালোরের কাছে হারার পর দুদলেরই পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে পয়েন্ট টেবিলের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে রাজস্থান।
ব্যাঙ্গালুরুতে ৩২ নম্বর ম্যাচে টস জিতে সাঞ্জু স্যামসন ব্যাটিংয়ে পাঠায় কোহলিদের। বোলিংয়ে আগের মতোই ট্রেন্ট বোল্টের শাসন। কোহলিকে ১ম বলেই এলবিডব্লুউ’র ফাঁদে ফেলেন। ওয়ান ডাউনে নামা শাহবাজ আহমেদের উইকেটও নেন তিনি। তবে এরপর ব্যাঙ্গালুরুকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয় নি।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং ফাফ ডু প্লেসিসের জুটিতে দারুণ সম্ভাবনা জাগে ব্যাঙ্গালুরু দলের। ফাফ ডু প্লেসিস ৬২ করে রান আউটের শিকার হন। তবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল থেমে থাকেন নি। অশ্বিনের বলে হোল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৭৭ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি। এরপর বাকি ব্যাটাররা রান করে স্কোরবোর্ডে ব্যাঙ্গালুরুর জন্য আওয়াজ তুলতে পারে নি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৮৯ পর্যন্ত যেতে পারে ব্যাঙ্গালুরু।
বোল্ট এবং সন্দীপ শর্মা ২টি এবং অশ্বিন, চাহালরা পায় ১টি করে উইকেট।
রাজস্থান ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাঙ্গালুরুর মতো ওপেনারকে হারায়। মোহাম্মদ সিরাজের বলে জস বাটলার রানের খাতা খোলার আগেই ক্রিজ ছাড়েন। তবে আরেক ওপেনার জয়সওয়াল, দেবদূত পাডিকেলকে নিয়ে শক্ত জুটি গড়ে এগিয়ে যেতেন থাকেন। জয়সওয়াল অল্পের জন্য অর্ধশত মিা করলেও সে ভুল করেনি আরেক তরুণ দেবদূত পাডিকেল।
ক্যাপ্টেন সাঞ্জু স্যামসন দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকলে তাকে ব্যক্তিগত ১৫ বলে ২২ রানের পর আর যেতে দেয় নি হার্শাল পাটেল। ততক্ষণে রাজস্থানের ম্যাচ জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে যায়। ধ্রুব জুরেল এবং অশ্বিন শেষ পর্যন্ত খেলে নিজেদের চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন নি।
ম্যাচের খেলা শেষ ওভার পর্যন্ত গেলে ৬ বলে রাজস্থানের জিততে চাই ২০ রান। অশ্বিন প্রথম ৩ বলে ১০ করলে ম্যাচ জেতা সম্ভব বলে মনে হয়েছিল। পরের বলেই হার্শাল পাটেলের বলে আউট হলে জয়ের সেই সম্ভাবনা আর সত্যি হয় নি। ১৮২ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস।
শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং বাদেই পুরো ম্যাচে হার্শাল পাটেল নিয়েছেন ৩টি উইকেট। মোহাম্মদ সিরাজ এবং ডেভিড উইলি নিয়েছেন ১টি করে।
ব্যাঙ্গালুরুর ৭ রানের জয়ে ম্যাচ সেরা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।