

ভারতে ঈদের দিন আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং পাঞ্জাব কিংস। টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা।
পাঞ্জাবের দুই ওপেনার ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলে পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেটে ৫৮ রানের পর শেষটাও চমকপ্রদ হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছিল। ওপেনিং জুটি ভাঙতে শুরুতেই আঘাত হানে শচিনপুত্র অর্জুন টেন্ডুলকার। লিয়াম লিভিংস্টোন এ নিয়ে পরপর দু ম্যাচ ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারলেন না। হারপ্রীত সিং ৪১ করে গ্রীনের বলে বোল্ড হলে ক্যাপ্টেনের কাঁধে রানের গতি বাড়ানোর দায়িত্ব পড়ে যায়। শিখর ধাওয়ানের ইঞ্জুরিতে অন্তর্বতীকালীন ক্যাপ্টেনও নিজের ভেল্কি দেখালেন।
স্যাম কারেনের ২৯ বলে ৫৫ রানের ইনিংস শেষ হয় ইনজুরি থেকে ফেরা জফরা আর্চারের বলে আউট হয়ে৷ শেষে ক্রিকেট খেলার পুরো মজাটা দেখালেন জিতেশ শর্মা। তার ৭ বলে ২৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে পাঞ্জাবের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২১৪।
অর্জুন টেন্ডুলকার মুম্বাইকে জেতাতে গত ম্যাচের ডেথ ওভারে কার্যকরী ভূমিকা রাখলেও আজ গড়েন এক লজ্জার রেকর্ড। ২০২৩ আইপিএলে এখন পর্যন্ত ১ ওভারে যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ ৩১ রান হজম করেছেন তিনি। এছাড়া ঋত্বিক বাদে মুম্বাইয়ের সব বোলারই উইকেট পেয়েছেন।
জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে ওপেনার ইশান কিশান মাত্র ১ করে আর্শদ্বীপের বলে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলয়নের দিকে হাঁটা ধরেন। রোহিত শর্মা অবশ্য নিজের দায়িত্বটুকু যথাযথ পালন করে গেছেন। ২৭ বলে ৪৭ করে ইশান কিশানের রান না করার ক্ষতিটা যতটা সম্ভব পুষিয়ে দিয়েছেন।
এরপরের খেলায় মেতে উঠেছে গ্যালারির দর্শকসারি। ক্যামেরুন গ্রীন এবং সুরিয়া কুমার যাদবের চার ছক্কায় ঈদের দিনে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের পয়সা উসুল হবারই কথা। ক্যামেরুন গ্রীনের ৬৭ আর এ আসরে প্রথম অর্ধশতক পাওয়া সুরিয়া কুমারের ২৬ বলে ৫৭ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস প্রশংসনীয়।
শেষে টিম ডেভিডের ১৩ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংসেও জিততে ব্যর্থ মুম্বাই ইনিংস। টুর্নামেন্টে এ আসরের ১১২ মিটারের সবচেয়ে বড় ছক্কাও হাকান তিনি। ৬ উইকেটে ২০১ রানে তাদের ইনিংস থামলে পাঞ্জাব ম্যাচটি জিতে যায় ১৪ রানে।
পাঞ্জাবের আর্শদ্বীপ সিং আজ ৪ উইকেট পেয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির পার্পেল ক্যাপ এখন তার মাথায়। বোল্ড করে স্ট্যাম্পও ভেঙেছেন তিনি। এছাড়া নাথান ইলিস এবং লিভিংস্টোন পেয়েছেন ১টি করে উইকেট। ৩১ তম এ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হন স্যাম কারেন।