

ঈদের দিনে আইপিএলের দুটি ম্যাচ। এমন রুদ্ধশ্বাসকর ম্যাচের প্রত্যাশা নিয়েই হয়তো দর্শকরা ছুটি পেয়ে মাঠে খেলা দেখতে গিয়েছেন। লখনৌতে ৩০ নম্বর ম্যাচে মুখোমুখি পয়েন্ট টেবিলে রাজত্ব কায়েম করা দুই দল গুজরাট টাইটান্স এবং লখনৌ সুপার জায়ান্টস।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলো গত আসরের শিরোপা জয়ী ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া। শুরুতেই নিজের ভাই ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে ওপেনার শুভমান গিল রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন। রান খরায় ভুগতে থাকা আরেক ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাট আজ দলের জন্য অনেকটা করেছেন। তার ৩৭ বলে ৪৭ রান গুজরাট ব্যাটিংয়ের দ্বিতীয় ট্রাম্প কার্ড। আর খোদ ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া ছিলেন গুজরাটের আজকের ম্যাচে রান মেশিন। ওয়ান ডাউনে নেমে ৫০ বলে ৬৬ করে স্টয়িনিসের বলে কিপারের কাছে ক্যাচ দিয়ে ইনিংস শেষ করেন। এটি ছিল হার্দিক পান্ডিয়ার এ আসরের প্রথম ফিফটি ।
ঋদ্ধিমান সাহা আর হার্দিক পান্ডিয়া বাদে আর কেও দলের জন্য স্কোরবোর্ডে রানের তালিকা দীর্ঘ করতে পারে নি। মাত্র ৬ উইকেটে ১৩৫ রানে গুজরাটের ইনিংস শেষ হয়।
দুই ওপেনারকে ফেরানো ক্রুনাল পান্ডিয়া ছাড়াও মার্কাস স্টয়নিস জোড়া আঘাত হেনেছিলেন। বাকি দুই উইকেটের ১টি পেয়েছেন নাভিন উল হক, অপরটি অমিত মিশ্রা।
সহজ লক্ষ্য সামনে রেখে অসাধারণ শুরুর পরও শেষ হাসিটা যে গুজরাট হাসবে তা হয়তো কেও ভুল করেও ভাবে নি। কিন্তু এটা আইপিএল বলেই সম্ভব।
ওপেনিংয়ে পাওয়ারপ্লেতে লোকেশ রাহুল এবং কাইল মায়ার্স মিলে করেন ৫৩ রান। মায়ার্স ২৪ করে ফিরে গেলেও জয়ের জন্য প্রাণপনে খেলে যেতে থাকেন লোকেশ রাহুল। তবে ক্রুনাল পান্ডিয়ার ২৩ রান ব্যতীত আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারে নি। তাই শেষ ওভারেও ম্যাচ জেতানের দায়িত্ব ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুলের কাঁধে।
লখনৌর জিততে চাই ৩৯ বলে মাত্র ৪৫ রান। সেই ম্যাচের সমীকরণ এসে দাঁড়ায় ৬ বলে ১২। আশ্চর্যের বিষয় শেষ ৪৫ বলে লখনৌর ব্যাটারদের ব্যাট থেকে আসে নি কোনো বাউন্ডারি। শেষ ওভারের খেলায় স্ট্রাইকে লোকেশ রাহুল, বল হাতে গুজরাটের আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মোহিত শর্মা। প্রথম বলে ২ নিলে পরের বলেই আউট হয়ে ফিরে যান রাহুল। তারপরের বলেই স্টয়নিস মিলারের হাতো ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। পরের দুই বলে দুটো রান আউট। লখনৌর খেলা ততক্ষণে শেষ। ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান করে লখনৌ।
মোহাম্মদ শামি এবং মোহিত শর্মার ডেথ ওভারে আগুন ঝা বোলিং গুজরাটের এই অবিশ্বাস্য জয়ের চাবিকাঠি। মোহিত শর্মা এবং নুর আহমেদ দুটি করে উইকেট পান এবং রাশিদ খান পান ১টি। মোহিত শর্মার ডেথ ওভারের ভেল্কিতে ম্যাচ সেরার এওয়ার্ড তিনিই জিতে নেন।