

অবশেষে স্বস্তির জয় পেলো দিল্লি ক্যাপিটালস। ৪ উইকেটের জয়ে প্লে অফ খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলো ডেভিড ওয়ার্নাররা।
২০১৬ তে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জেতান ডেভিড ওয়ার্নার। অধিনায়কত্বের প্রশ্নে অন্তত তার ক্ষেত্রে কোনো খুঁত ধরা চলবে না। তাই ইঞ্জুরির কারণে আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়া রিশাব পান্টের পরিবর্তে নিশ্চিন্তে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ডেভিড ওয়ার্নারের কাধে। সেই ওয়ার্নারের দলই শুরুতেই টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বসে। তাই কোলকাতার বিপক্ষে এ ম্যাচ জয়ে দিল্লি যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো।
২৮তম ম্যাচে হোম ভেন্যুতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অভিজ্ঞ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। ২০২১ এর পর আইপিএলে বল হাতে প্রথম মাঠে নামা ইশান্ত শর্মার হাতে বল তুলে দেন ওয়ার্নার।
আইপিলে নিজের অভিষেকে শুরুটা দারুণ করেছিলেন লিটন কুমার দাস। ইশান্তের বলে চার মেরে নিজের আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করেন। তবে এটাই ছিল তার মোট রান। পরের ওভারে মুকেশের বলে সহজ ক্যাচ তুলে কলকাতা দর্শকদের হতাশ করে ফিরে যান লিটন।
আরেক ওপেনার জেসন রয় উইকেট আগলে খেলে যেতে থাকেন। তবে তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ দলের বাকি ব্যাটাররা। দীর্ঘদিন রান খরায় ভুগতে থাকা আন্দ্রে রাসেল দলের প্রয়োজনে ৩৮ রান করে বেশ ভালো ভমিকা রাখেন। জেসন রয়ের ৪৩ ছাড়া অন্য ব্যাটাররাও আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। সব উইকেট বিলিয়ে শেষে কোলকাতার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৭ রান।
দিল্লির বোলাররা জানত টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে আজকের ম্যাচটা তাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবাই সবার সেরাটা দিয়েছে দলকে জেতাতে। মিচেল মার্শ বাদে সব বোলারই পেয়েছেন সফলতা। কুলদীপ যাদব, ইশান্থ শর্মা, আনরিখ নরকিয়া, আক্সার পাটেলরা পেয়েছেন ২টি করে উইকেট এবং মুকেশ কুমারের ১টি।
ব্যাটিংয়ে দলকে জেতানোর দায়িত্বটাও বুঝে শুনে পালন করে গেছেন। পৃথ্বী শ ব্যাট হাতে বর্থ হলেও ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ৫৭ রান করে দলের জয়রথ সাজিয়ে দিয়ে যান। মিডল অর্ডার সে পথ কিছুটা অনুসরণ করলে আরও কম সময়ে দিল্লি সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত জয়ের স্বাদ পেত। মিচেল মার্শ ব্যর্থ, রাইলি রুশোর বিকল্প হিসেবে নামানো ফিল সল্টও ব্যর্থ।
শেষে মানিশ পান্ডে এবং আক্সার পাটেলের ছোট ছোট দায়িত্বশীল ইনিংসে ৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস।
কোলকাতা ক্যাপ্টেন নিতিশ রানা ৬ জন বোলার ব্যবহার করেও সুবিধা করতে পারেননি। শেষে তিনি নিজেও বোলারের ভূমিকায় মাঠে নামেন। সফলতা পেয়েছেন ২টি। এছাড়া বরুণ চক্রবর্তী এবং অনুকূল রয় ২টি উইকেট পেলে বাকি বোলাররা ছিলেন উইকেটশূন্য। ৪ উইকেটে দিল্লির জয়ে ম্যাচ সেরা হন ইশান্ত শর্মা।