

নিয়মিত অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের পরিবর্তে হঠাৎ টস করতে মাঠে নামে ভিরাট কোহলি। ৫৫৬ দিন পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়কের দায়িত্বে ভিরাট কোহলিকে দেখে উৎসুক দর্শকের উত্তেজনায় কেঁপে ওঠে মোহালি স্টেডিয়াম।
ফাফ ডু প্লেসিস ম্যাচে ছিলেন, ব্যাটিংও করেছেন। তবে ইম্প্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে। সে সুযোগে ভিরাট কোহলিকে আবারও ফ্রাঞ্চাইজিটির অধিনায়ক হিসেবে দেখা যায়। এদিনে অবশ্য প্রতিপক্ষ পাঞ্জাবের অধিনায়কত্বেও পরিবর্তন দেখা যায়। ইনজুরির কারণে শিখর ধাওয়ানের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব কাধে মাঠে আসেন স্যাম কারেন। টস জিতে স্যাম কারেন ফিল্ডিং বেছে নেন।
ব্যাটিংয়ে এবারের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর যেনো অন্য সব দলকে ছাপিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিচ্ছে শুরু থেকেই। এবারের আসরে সর্বোচ্চ ৫টি জুটির ৪টিই ব্যাঙ্গালোরর। আজই ওপেনিংয়ে ভিরাট কোহলি এবং ফাফ ডু প্লেসিস মিলে করেন ১৩৭ রান। তবে কোহলির ৫৯ আর প্লেসিসের ৮৪ রানের পর আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করতে পারে নি। তাই ২০ ওভার শেষে কোহলিদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭৪।
বোলিংয়ে হারপ্রীত ব্রার ২টি এবং নাথান এলিস, আর্শদীপ সিং পান ১টি করে উইকেট।
কোহলির নেতৃত্বে ব্যাঙ্গালোরর বোলাররা নিজেরাই ম্যাচ জেতানের দায়িত্ব কাধে নেন। ওপেনিংয়ে একজন ব্যর্থ হলেও আরেক ওপেনার প্রভসিমরান সিং দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলতে ত্রাণকর্তা হয়ে খেলে যান। পুরো ম্যাচে তার করা ৪৬ রানই পাঞ্জাবের ব্যাটিং বুস্ট। এরপর ম্যাথিউ শর্ট থেকে শুরু করে পাঞ্জাবের হয়ে অভিষিক্ত লিয়াম লিভিংস্টোন, স্যাম কারেন, হারপ্রীত সিং শুধু নামে মাত্র ব্যাটিং করে গেছেন।
শেষে জিতেশ শর্মার ২৭ বলে ৪১ পাঞ্জাবকে আশার আলো দেখালেও জিতেশের আউটের পর সেই আগের রুপে ব্যর্থ বাকি সব ব্যাটাররা। ১০ বল বাকি থাকতেই ১৫০ রানে পাঞ্জাবের ইনিংসের সমাপ্তি হয়।
বোলিংয়ে মোহাম্মদ সিরাজ একাই পাঞ্জাবের ব্যাটিং লাইন আপ দুমড়ে মুচড়ে দেন। ৪ ওভারে ২১ রানের খরচায় নেন ৪টি উইকেট। একটি ডিরেক্ট থ্রোতে রান আউটও করেন। এছাড়া হাসারাঙ্গা ২টি এবং হার্শাল পাটেল, ওয়াইন পার্নেল ১টি করে উইকেট পেলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর জিতে যায় ২৪ রানে। মোহাম্মদ সিরাজ হন ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় ।