

ডিপিএল মানেই যেন এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে রানের ফোয়ারা। লিস্ট-এ ক্রিকেটে নিজের ১৭তম সেঞ্চুরি হাঁকানোর দিন তার দল আবাহনী পেল ৫৪ রানের জয়। বিজয়ের ১০৭ রানের দাপুটে ইনিংসের পরও আবাহনীর স্কোরবোর্ডে আসে ২৬৬ রান। জবাব দিতে নেমে ২১২ রানেই গুটিয়ে যায় ঢাকা লিওপার্ডস।
বিকেএসপির চার নম্বর গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে আবাহনী লিমিটেড। ইন-ফর্ম দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নাইমের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পায় আবাহনী। এই জুটির সামনে কোনরকম পাত্তাই পায়নি লিওপার্ডসের বোলিং লাইন।
ব্যাট হাতে রীতিমতো তান্ডব চালান বিজয়-নাইম। উদ্বোধনী জুটিতেই স্কোরবোর্ডে ১৪৮ রান। ফিফটি হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ৫৭ রানে নাইম আউট হলে ভাঙে জুটি। তিনে নামা জাকের আলি অনিক হয়েছেন রান-আউটের শিকার। ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ হোসেন। ফেরার আগে অবশ্য খেলে গেছেন ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস।
এরমাঝেই এনামুল বিজয় ফিফটি হাঁকিয়ে ছুটেন সেঞ্চুরির পথে। লিস্ট-এ ক্রিকেটে নিজেদের ১৭তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বিজয় দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান-আউটে কাটা পড়েন। ১২৬ বল খেলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় এই ইনিংস সাজান বিজয়। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার দানিশ আজিজ ৬ রানের বেশি পাননি।
২২ বলে ২১ রান করে বিদায় নেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। শেষবেলায় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তানজিম হাসান সাকিবের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৬৬ রান জমা করে আবাহনী। সাইফউদ্দিন ১৪ বলে অপরাজিত থাকেন ১৮ রান নিয়ে। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ১২।
২৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় ঢাকা লিওপার্ডস। ওপেনার জসিম উদ্দীন বিদায় নেন ১৮ বলে ৮ করে। তিনে নামা জাকিরুল আহমেদের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। সমানসংখ্যক ১০ করে উইকেট হারান রকিবুল হাসান।
তবে এরমাঝেই দাপট দেখান ওপেনার পিনাক ঘোষ। দলীয় ১২৭ রানে পিনাক আউট হন ব্যক্তিগত ৬৮ রানে। আল-ইমরান খেলেন ২৯ রানের ইনিংস। এছাড়া অধিনায়ক মইন খান ৩১ রান করেন।
আবাহনীর বোলারদের মধ্যে এদিন সফল রিপন মন্ডল, রাকিবুল হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তানভীর ইসলাম। সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন রিপন ও রাকিবুল। সাইফউদ্দিন ৭ ওভার বল করে কেবল ১৮ রান খরচায় দখলে নেন দুই শিকার। আর তাতেই যেন ২১২ রানে থেমে যায় ঢাকা লিওপার্ডসের ব্যাটিং।