দুই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের দিনে ইমপ্যাক্ট দেখিয়ে দলকে জেতালেন রাশিদ

দুই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের দিনে ইমপ্যাক্ট দেখিয়ে দলকে জেতালেন রাশিদ

গুজরাট টাইটান্সের ইনিংসের ১৮ তম ওভারের শেষ বল, রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকারের বলে মিচেল স্যান্টনারের ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন বিজয় শঙ্কর। গুজরাটের উইকেটের কলামে ৫। জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে দরকার ২৩ রান। উইকেটে আসলেন রাশিদ খান।

দীপক চাহারের করা পেনাল্টিমেট ওভারের প্রথম বলে রান এলো না। দ্বিতীয় বলে লেগ বাই সূত্রে ৪ রান, ৩য় বলে সিঙ্গেল নিয়ে রাশিদ খানকে স্ট্রাইক দেন রাহুল তেওয়াটিয়া।

নিজের মোকাবেলা করা প্রথম বলেই মিডউইকেটের ওপর দিয়ে হাঁকান ছক্কা। পরের বলে আদায় করে নেন বাউন্ডারি। মোকাবেলা করা প্রথম দুই বলেই ১০ রান তুলে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন রাশিদ খান।

শেষ ওভারে গিয়ে ছয় ও চার হাঁকিয়ে তুলির শেষ আচড় দেন তেওয়াটিয়া। ৪ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন।

৩ বলে অপরাজিত ১০ রান করে দলকে জয় পাইয়ে দিতে সাহায্য করা রাশিদ খান অবশ্য কাজের কাজ করেন বল হাতেই। টসে হেরে আগে ব্যাট করা চেন্নাইকে ১৭৮ (২০ ওভারে ১৭৮/৭) রানে আটকে রাখতে বড় ভূমিকা রাশিদ খানের।

৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান খরচে নেন মইন আলি ও বেন স্টোকসের উইকেট। চেন্নাই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় দলের রান ১৮০ ছুঁইছুঁই করতে রাখেন বড় অবদান। ৫০ বলে ৪ চার ও ৯ ছক্কায় ৯২ রান করেন তিনি। ৮ রানের আক্ষেপে পোড়েন এই তরুণ ওপেনার।

গুজরাটের হয়ে রাশিদ খান ছাড়াও দুইটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি ও আলঝারি জোসেফ। ২ উইকেট নেবার পথে শামি পূর্ণ করেন আইপিএলে তার ১০০ উইকেটের মাইলফলক।

জবাব দিতে নেমে ঋদ্ধিমান সাহাকে নিয়ে দলকে ভালো শুরু এনে দেন শুবমান গিল। ১৬ বলে ২৫ রান করে থামেন সাহা। তবে ফিফটি তুলে নেন গিল। আউট হবার আগে ৩৬ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৬৩ রান করেন তিনি। তিনে ইমপ্যাক্ট সাবস্টিটিউট হয়ে নামেন সাই সুদর্শন। ১৭ বলে ২২ রান করে দলের জয়ে অবদান রাখেন তিনি।

চেন্নাইয়ের হয়ে ইমপ্যাক্ট সাবস্টিটিউট হয়ে নেমে অবশ্য সুবিধা করে উঠতে পারেননি তুষার দেশপান্ডে। ৩.২ ওভার বল করে ১ উইকেট নিলেও খরচ করেন ৫১ রান।

অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরা হন রাশিদ খান।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

চার্টার্ড বিমানে আইপিএল খেলতে যাচ্ছেন মুস্তাফিজ

Read Next

নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে ভারত যাবার পথে থাকল দক্ষিণ আফ্রিকা

Total
0
Share