

টি-টোয়েন্টিতে লিটন-রনির ওপেনিং জুটির বাজিমাত। পাওয়ার-প্লে’তে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৮১। টানা পারফর্ম করে যাওয়া লিটন দাস আবার ভাসছেন প্রশংসায়। এবার বন্দনায় মেতেছেন সঙ্গী রনি তালুকদার। এলকেডির চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ রনি, নিজের ব্যাটিংও হয়ে যাচ্ছে সহজ।
লিটন দাস ও রনি তালুকদারের ওপেনিং জুটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সেরার কাতারে থাকবে। এই দুই ডানহাতি যেভাবে ভয়ডরহীন ব্যাটিং করে প্রতিপক্ষের বোলিং অ্যাটাককে ধ্বংসস্তূপ বানিয়ে দিচ্ছেন, অনিন্দ্য সুন্দর! রনি তালুকদারের প্রত্যাবর্তনের পর লিটনের সঙ্গে তার জুটি- ৩৩, ১৬, ৫৫, ৯১ ও ১২৪ রানের।
ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গী হতে পেরে খুশি রনি। রানের গতি নিজেই ধরতে পারছেন না। রনি জানালেন, লিটনের কাছ থেকে শিখতে চান আরও অনেক কিছু।
‘লিটন এখন বাংলাদেশ দলের মূল ব্যাটার, আমি মনে করি। ওর সঙ্গে ব্যাটিং করতে পারা সত্যি অনেক আনন্দের ব্যাপার। আমরা চেষ্টা করে সবসময় স্ট্রাইকরেট ধরে খেলা। ওর সঙ্গে ব্যাটিং করলে মনে হয় না যে, কীভাবে রান হয়ে যাচ্ছে। ওর ব্যাটিং দেখলে মনে হয় দেখেই যাই, অনেক কিছু শেখারও আছে।’
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে আসে ৮১ রান। যা পাওয়ার-প্লে’তে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগের সের পাওয়ার-প্লে ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরে, ৪ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা করেছিল ৭৬ রান।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ২য় ম্যাচে ৫ ওভারের পাওয়ার-প্লে’তে ৭৩ রান। উদ্বোধনী জুটির ব্যাটে টি-টোয়েন্টিতে যেন উড়ছে বাংলাদেশ। কি প্ল্যান করে মাঠে নামেন? অধিনায়ক রনি তালুকদারের বক্তব্যয
‘পাওয়ার প্লে’তে আমাদের কোনো লক্ষ্য নির্দিষ্ট করা ছিল না। বল দেখে দেখে খেলব, বলে ধরন অনুযায়ী খেলব, এটাই আমাদের পরিকল্পনা ছিল।’
‘প্রতিটি ব্যাটারই এটা চায়, আমিও চাই আমার যে খেলার ধরন, আক্রমণাত্মক খেলা, আমার সঙ্গীও যেন সেভাবে খেলতে পারে। তখন দুজনের জনই সহজ হয় যায়। একটা লম্বা ইনিংস খেলার জন্য এটা খুবই জরুরি, আমি মনে করি। এ জন্য ওর সঙ্গে ব্যাটিং করলে কখন স্কোর বড় রান হয়ে যাচ্ছে বোঝাই যায় না।’