

আইরিশ বোলারদের পাত্তা না দিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ২০৭ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ ১৯.২ ওভারে। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ আপাতত। লিটন-রনির ওপেনিং জুটির বাজিমাত। পাওয়ার-প্লে’তে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। ৩ রানের জন্য লিটন পাননি ফিফটি। রনি ব্যাটে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। চতুর্থ বারের মতো টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ছুঁয়েছে দুইশো রান।
১৯.২ ওভারে বাংলাদেশের ২০৭/৫; বৃষ্টির জন্য হয়নি চার বল। আগের সর্বোচ্চ ২১৫ রানের রেকর্ড অক্ষত থেকে যায় বেরসিক বৃষ্টিতে। টানা বর্ষণের ফলে শেষপর্যন্ত আর বাংলাদেশ ইনিংসের বাকি ৪ বল মাঠে গড়ায়নি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। লিটন দাস ও রনি তালুকদারের ওপেনিং জুটির দাপুটে শুরু। প্রথম ওভারে ১১, পরের ওভারে ১৪। পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৮১ রান। যা টি-টোয়েন্টির পাওয়ার-প্লে’তে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এর আগের সের পাওয়ার-প্লে ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরে, ৪ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা করেছিল ৭৬ রান।
পাওয়ার-প্লের পরও ঝড় থামেনি দুই ওপেনারের ব্যাটে। তবে ব্যক্তিগত ৪৭ রানে লিটন দাস আউট হলে ভাঙে ৯১ রানের উদ্বোধনী জুটি। লিটন মাত্র ২৩ বল খেলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে সাজান এই ইনিংস। লিটন তিন রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেও রনি তালুকদার ২৪ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। আইরিশ বোলারদের রীতিমতো তান্ডব চালিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি রনির প্রথম পঞ্চাশ।
দশ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ হয় ১ উইকেটে ১১৬। তবে এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৩ বলে ১৪ করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। শেষপর্যন্ত রনি তালুকদারের ঝড় থামে ১৪তম ওভারের শেষ বলে। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ৬৭ রানের ইনিংস রনি খেলেন কেবল ৩৮ বলে।
এরপর আক্রমণ চালান শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও তাওহীদ হৃদয়। নিজের প্রথম দুই ওভারে ৩৪ হজম করা মার্ক অ্যাডায়ার ৩য় ওভার করতে এসেই তুলে নিলেন ২০ বলে ৩০ রানে থাকা শামীমের উইকেট। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে উইল ইয়াংকে ছয় হাঁকিয়ে দলকে দুইশো রানের গণ্ডি টপকিয়ে দেন হৃদয়। কিন্তু পরের বলে হারিয়েছেন স্টাম্প। ৮ বল খেলে ১৩ রানে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন।
১৯.২ ওভারে বৃষ্টি নামার আগে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে জমা করে ২০৭ রান। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অপরাজিত থাকেন ২০ রানে।