

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজও রানের পাহাড় গড়ল বাংলাদেশ। লিটন দাসের ৭০ ও নাজমুল হোসেন শান্ত’র ৭৩ রানের ইনিংসের পর মুশফিকুর রহিমের তান্ডব। আইরিশ বোলারদের ধ্বংসস্তূপ বানিয়ে মুশফিক ইনিংসের শেষ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। আর তাতেই বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৪৯। সাকিবকে টপকে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম শতরানের মালিক এখন মুশফিক।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ এখন এটিই। এর আগের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস একদিন আগেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, ৩৩৮/৮। মুশফিকুর রহিমের হার-না-মানা সেঞ্চুরি ৬০ বলে। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যেই মুশফিকের আজকের সেঞ্চুরিই সবচেয়ে দ্রুততম। এর আগে সাকিব আল হাসান ৬৩ বলে হাঁকিয়েছিলেন সেঞ্চুরি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৯ সালে।
View this post on Instagram
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। অধিনায়ক তামিম ইকবাল শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকেন। যখন হাত খুলে মারতে শুরু করেন তখনই হয়েছেন রান আউটের শিকার। ৩১ বলে ২৩ করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে।
এরপর লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত’র লড়াই। এই দুইয়ের ব্যাটে ১০১ রানের জুটি। শুরুটা ধীরগতির হলেও ফিফটি হাঁকিয়ে লিটন হয়ে উঠেন মারমুখী। শেষপর্যন্ত তার ইনিংস থামে ৭০ রানে। ৭১ বলে সমান ৩ চার ও ছয়ে এই ইনিংস সাজান ওপেনার লিটন।
প্রথম ওয়ানডেতে ৯৩ করা সাকিব আল হাসান আজ উইকেট হারান ১৭ রান করতেই। দারুণ খেলতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তও ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে পারেননি শতরানে। ৭৭ বলে ৭৩ রান করা শান্তকে বিদায় করেন গ্রাহাম হিউম দখলে নেন ২য় উইকেট। পাঁচে নামা তরুণ তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গ দিতে আসেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।
অভিষেক ম্যাচে ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা তাওহীদ হৃদয় আজ আউট হন ৪৯ রানে। মাত্র ৩৪ বল খেলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় হৃদয় ঝড় তুলেন সিলেটে। হৃদয় ফিরলেও থামেনি মুশফিকের ব্যাটের তান্ডব। এরমাঝেই মুশফিক ৩৩ বলে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৪তম ফিফটি। মুশফিক রীতিমতো তুলোধুনা করে দেন আইরিশ বোলিং লাইনকে।
ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলেই গ্রাহাম হিউমের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি (৭)। রান বন্যার ম্যাচে যেন ইয়াসিরই একমাত্র রানখরায়।
View this post on Instagram
শেষ বলে মুশফিক সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, মাত্র ৬০ বলে। আর তাতেই বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে জমা করে ৩৪৯ রানের বড় সংগ্রহ।