রোমাঞ্চকর ফাইনাল, লাহোরের ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা

রোমাঞ্চকর ফাইনাল, লাহোরের ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা
Vinkmag ad

টানা দ্বিতীয়বারের মত পিএসএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাহোর কালান্দার্স। রোমাঞ্চকর এক ফাইনালে মুলতান সুলতান্সের বিপক্ষে মাত্র ১ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছে তারা। আগেরবারও তাদের ফাইনালের প্রতিপক্ষ ছিল সেই মুলতান।

এবারের ফাইনাল ছিল শ্বাসরুদ্ধকর, টানটান উত্তেজনাপূর্ণ। কেহ কারে নাহি ছাড়, এমন একটা লড়াই হয়েছে দুই দলের মধ্যে। শিরোপার জন্য শেষ বিন্দু পর্যন্ত নিংড়ে দিয়েছিলেন খেলোয়াড়েরা। তবে শেষ হাসি হেসেছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।

শুরুতে ব্যাটিং পায় লাহোর কালান্দার্স। মীর্জা বেগ ১৮ বলে ৩০ রান করে ভালো একটা সূচনা এনে দেন। তার বিদায়ের পর আরেক ওপেনার ফখর জামানের (৩৯) সাথে ৫৭ রানের জুটি গড়েন তিনে নামা আবদুল্লাহ শফিক। কোন রান না করা অবস্থায় কাইরন পোলার্ডের হাত থেকে জীবন পাওয়ায় শফিকই দলকে বড় স্কোরের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন।

মাঝে ১৭ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোনঠাসায় পড়ে যায় কালান্দার্স। স্বয়ং অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদি এসে ত্রাণকর্তায় পরিণত হন। শফিকের সাথে মাত্র ২৭ বলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন ৬ষ্ঠ উইকেটে, নিজে খেলেছেন দানবীয় এক ইনিংস। লাহোর শেষ পর্যন্ত ২০০ রানের বড় স্কোর পায়।

সর্বোচ্চ ৬৫ রানে আসে শফিকের ব্যাট থেকে। ৪০ বলে ৮ চার ও ২ ছয়ের মারে। শাহীন আফ্রিদি মাত্র ১৫ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

এবারের টুর্নামেন্টে ২০০ রানের টার্গেট অতিক্রম করাটা বেশ মামুলি হয়ে গিয়েছিল। তাই ফাইনালে লম্বা স্কোরের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও উড়ন্ত সূচনাই আসে মুলতানের শুরুর দিকের ব্যাটারদের কাছ থেকে। ২১ বলে ৪১ রানের জুটি দিয়ে শুরু হয় উসমান খান ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের মধ্যে।

উসমানের (১৮) বিদায়ের পর রাইলি রুশো ও রিজওয়ান গড়েন ৬৪ রানের জুটি। রুশো ৫২ এবং রিজওয়ান ৩৪ রান করেন। রাশিদ খানের ঘূর্ণিতে এ দুইজন সাজঘরের পথ দেখেন।

নিজেদের ইনিংসে অমন এক দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে শুরুতে ২ ওভারে ৩৪ রান দিয়েছিলেন শাহীন আফ্রিদি। তবে পরের স্পেলে এসে ৪ উইকেট নিয়ে পুশিয়ে দেন তিনি।

লাহোর এক প্রকার ধরেই নিয়েছিল সহজে তারা জয় পেতে যাচ্ছে। সেখানে বাদ সাধেন মুলতানের খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদি। ১৯তম ওভারে হারিস রউফের কাছ থেকে ২২ রান ছিনিয়ে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন এ দুই ব্যাটার। শেষ ওভারে জামান খানের দৃঢ়তায় ১ রানের ব্যবধানে জয় পেয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করে লাহোর।

খুশদিল ১২ বলে ২৫ এবং আব্বাস মাত্র ৬ বলে অপরাজিত ১৭ রান করেন।

লাহোরের পক্ষে শাহীন আফ্রিদি একাই নেন ৪ উইকেট। রাশিদ খানের ঝুলিতে যায় ২ উইকেট।

অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচ সেরা হয়েছেন লাহোরের অধিনায়ক শাহীন আফ্রিদি। ২২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরষ্কার পান মুলতানের বোলার ইহসানুল্লাহ। পিএসএলের ইতিহাসে এই প্রথম কোন বোলার টুর্নামেন্ট সেরা হলো।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

লাহোর কালান্দার্স: ২০০/৬ (২০), মির্জা ৩০, ফখর ৩৯, শফিক ৬৫, বিলিংস ৯, আহসান ০, রাজা ১, শাহীন আফ্রিদি ৪৪*, ভিসা ২*; আনোয়ার ৪-০-৪৬-১, ইহসানুল্লাহ ৩-০-৩৭-১, উসামা ৩-০-২৪-৩, খুশদিল ২-০-১১-১

মুলতান সুলতান্স: ১৯৯/৮ (২০), উসমান ১৮, রিজওয়ান ৩৪, রুশো ৫২, পোলার্ড ১৯, ডেভিড ২০, খুশদিল ২৫, আনোয়ার ১, উসামা ০, আব্বাস ১৭*; শাহীন আফ্রিদি ৪-০-৫১-৪, রাশিদ ৪-০-২৬-২, ভিসা ৪-০-৩১-১

ফলাফল: লাহোর কালান্দার্স ১ রানে জয়ী

ম্যাচ সেরা: শাহীন শাহ আফ্রিদি ( লাহোর কালান্দার্স)

টুর্নামেন্ট সেরা: ইহসানুল্লাহ ( মুলতান সুলতান্স)।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

নামের সঠিক বানান ও উচ্চারণ জানালেন হৃদয়

Read Next

পিএসএলে ইতিহাস গড়লেন ইহসানউল্লাহ, মুলতান সুলতান্সের জয়জয়কার

Total
0
Share