

গ্রুপ পর্বের দাপুটে পারফরম্যান্সের পর কোয়ালিফায়ারে এসে মুখ ধুবড়ে পড়েছে লাহোর কালান্দার্স। মুলতান সুলতান্সের কাছে ৮৪ রানের শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে তারা। কাইরন পোলার্ডের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স ও বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সুবাদে ফাইনালে পৌঁছে গেছে মুলতান।
লাহোরে অবশ্য রাওয়ালপিন্ডির মত রান প্রসবা ম্যাচ হয়নি। বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে ব্যাটারদের। শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে সূচনাটা ভালোই হয় মুলতানের। উসমান খান ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের মধ্যে ৫৩ রানের উদ্বোধনী জুটি আসলেও ৪৫ বল মোকাবেলা করতে হয়েছে তাদের।
উসমান (২৯) ও রিজওয়ানের (৩৩) বিদায়ের পর হাল ধরেন চারে নামা পোলার্ড। টিম ডেভিডের (২২*) সাথে ৪র্থ উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়েন। মারমুখী ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি আদায় করে নেন পোলার্ড। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৫৭ রানে আউট হন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ৬টি ছক্কার মার।
মুলতান ৫ উইকেটে ১৬০ রান করতে সমর্থ হয়।
লাহোরের পক্ষে হারিস রউফ একাই নেন ৩ উইকেট। এছাড়া রাশিদ খান ও জামান খান ১টি করে উইকেট পান।
জবাব দিতে নেমে মুলতানের শেলডন কোটরেল ও আনোয়ার আলির সুইংয়ের দিশেহারা হয়ে পড়ে লাহোরের শুরুর দিকের ব্যাটাররা। পরবর্তীতে সে ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি তারা।
মুলতানের বোলারদের কাছে সর্বশান্ত হয়ে মাত্র ৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায় লাহোর। স্যাম বিলিংস (১৯), হারিস রউফ (১৫) ও ডেভিড ভিসা (১২) ছাড়া দলের আর কোন ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেনি।
কোটরেল ৩টি ও উসামা মীর ২টি উইকেট নেন। ব্যাটিংয়ে অর্ধশতরান করা পোলার্ডের ঝুলিতেও যায় ১ উইকেট, ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পান তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মুলতান সুলতান্স: ১৬০/৫ (২০), উসমান ২৯, রিজওয়ান ৩৩, রুশো ১৩, পোলার্ড ৫৭, ডেভিড ২২*, খুশদিল ০, আনোয়ার ১*; ভিসা ৪-০-২৪-১, রাশিদ ৪-০-১৮-১, রউফ ৪-০-৩৪-৩
লাহোর কালান্দার্স: ৭৬/১০ (১৪.৩), মীর্জা ৮, ফখর ৬, শফিক ০, বিলিংস ১৯, শাহীন আফ্রিদি ০, তালাত ৪, রাজা ১, ভিসা ১২, রাশিদ ০, রউফ ১৫, জামান ০*; কোটরেল ৩-০-২০-৩, আনোয়ার ৩-০-১৩-১, আব্বাস ২.৩-০-৫-১, ইহসানুল্লাহ ৩-১-১৮-১, পোলার্ড ১-০-৩-১, উসামা ২-০-১২-২
ফলাফল: মুলতান সুলতান্স ৮৪ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা: কাইরন পোলার্ড ( মুলতান সুলতান্স)।