

পল স্টার্লিংয়ের ফিফটি, কুর্টিস ক্যাম্ফারের হার-না-মানা ৭৫ রানর পর দক্ষ বোলিং প্রদর্শনে প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে জয় তুলে নিল আয়ারল্যান্ড। ২৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সৌম্য সরকারের ৪৮ রানই সর্বোচ্চ। শেষপর্যন্ত ইয়াসির আলি রাব্বির দল গুটিয়ে যায় ১৮১ রানে, ৭৭ রানের জয়ে আইরিশদের রোমাঞ্চকর সূচনা।
আইরিশ ক্রিকেটাররা ইয়াসির আলির দলকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের মুখোমুখি হওয়ার জন্য বেশ প্রস্তুত! ১৮ মার্চ শুরু সিরিজের প্রথম ওয়ানডে।
ওপেনার পল স্টার্লিং, স্টিফেন ডোহেনির (৩০) সাথে ৫৩ রানের উদ্বোধনী পার্টনারশিপ গড়েন। রেজাউর রহমান রাজা বিসিবি একাদশকে এনে দেন প্রথম ব্রেকথ্রু। সৌম্য সরকার বোল্ড করে বিদায় জানিয়েছেন ৫০ বলে ৫৪ করা স্টার্লিংকে। তিনে নামা অ্যান্ডি বালবার্নির ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান।
এক ওভারে রিশাদ হোসেনের পকেটে জোড়া শিকার। ৯ রানের বেশি করতে পারেননি হ্যারি টেক্টর। ২য় বলে টেক্টরকে ওভারের শেষ বলে তুলে নেন জর্জ ডকরেলের (০) উইকেট। লরকান টাকার ১৯ ও গ্যারেথ ডেলানি ৩৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে কুর্টিস ক্যাম্ফারকে সঙ্গ দিয়েছেন।
বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে মাতিয়ে যাওয়া ক্যাম্ফার বাংলাদেশে ফিরেই করলেন বাজিমাত। দাপট দেখিয়ে ফিফটি তুলে নেন, এরপর হন আরও চড়াও। শেষপর্যন্ত ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। বৃষ্টির কারণে ৪০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৭ উইকেটে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ২৫৫। ৫০ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো ক্যাম্ফারের অনবদ্য ইনিংস। আর তাতেই বড় টার্গেট পড়ে সৌম্য, ইয়াসিরদের সামনে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ ভাল শুরু করেছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৮ রানে জাকির হাসান আউট হলে ভাঙে ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার এরপর তিনে নামা রোহানকে নিয়ে লড়াই চালান। এরপর অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন পরপর দুই ওভারে বিদায় করেন রোহান (১৮) ও শাহাদত হোসেন দিপুকে (২)।
দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য দুই রানের জন্য করতে পারেননি অর্ধশতক। সৌম্য’র ৪৮ রানের ইনিংস সাজানো ৪৬ বলে, ৭ চার ও দুই ছয়ে। অধিনায়ক ইয়াসির আলি চৌধুরী ৯ বল খেলে করেন কেবল ৩। দলীয় ৯৫ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও আকবর আলির পালটা প্রতিরোধ।
এই জুটি থেকে আসে ৪৫ রান। ২০ বলে ২৬ রানে ক্যাচ তুলেন আকবর। রিশাদ, শামীমের ব্যাটে চড়ে আরও কিছুপথ এগোয় বিসিবি একাদশের ইনিংস। হ্যারি টেক্টরের স্পিনে পরাস্ত হয়ে স্লিপে বালবার্নির হাতে ধরা পড়েন ৩৫ রানে থাকা শামীম হোসেন। এরপর শূন্যহাতে ফিরেছেন নাসুম ও রাজা। শেষ ব্যাটার হিসেবে রিশাদ আউট হন ব্যক্তিগত ১৭ রানে। ১৮১ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।