

সাকিব আল হাসানের দলের কাছে মিরপুরে হোয়াইটওয়াশ হল ইংলিশরা। লিটন দাসের ক্যারিয়ার সেরা অনবদ্য ৭৩ রানের ইনিংস। নাজমুল হোসেন শান্ত’র অপরাজিত ৪৭’এ বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৮। এরপর তাসকিন, মুস্তাফিজদের আগুন বোলিংয়ে ইংল্যান্ড আটকে গেল ১৪২ রানে। বাংলাদেশের ১৬ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে ইংলিশরা ধবল ধোলাই।
ইংল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে তিন ম্যাচ মিলিয়ে মোট ১৪৪ করা নাজমুল হোসেন শান্ত অন্যতম নায়ক।
অভিষেক টি-টোয়েন্টির প্রথম ওভারেই সাফল্য তুলে নিলেন তানভীর ইসলাম। লিটন দাসের দুর্দান্ত স্টাম্পিংয়ে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরত যান ফিল সল্ট। এরপর ডেভিড মালানের সঙ্গে জস বাটলারের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ। তবে মুস্তাফিজ এসে ভাঙেন এই জুটি।
মালানকে (৫৩) ফিরিয়ে ছুঁয়েছেন ১০০ উইকেটের মাইলফলক। দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই অনন্য রেকর্ড গড়েন ফিজ। পরের বলেই মিরাজের দারুণ এক থ্রোতে রান-আউট ৪০ রানে থাকা জস বাটলার। দলীয় ১০০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
ইনিংসের ১৭তম ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে যান তাসকিন আহমেদ। মইন আলি ৯ ও বেন ডাকেট ১১ রানে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। সাকিব কোটার শেষ ওভার করতে তুলে নিলেন স্যাম কারেনের উইকেট।
শেষপর্যন্ত ১৪২ রানে থামে ইংল্যান্ডের ইনিংস। ১৬ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সফরে এসে ৩ ওয়ানডের পর প্রথম ২ টি-টোয়েন্টিতেও টসে হারা ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার শেষ ম্যাচে এসে আজ টসে জিতেছেন। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছেন তিনি। লিটন দাস ও রনি তালুকদারের দুর্দান্ত ওপেনিংয়ে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড ৪৬/০। তবে ব্যক্তিগত ২৪ রানে রনি তালুকদার আদিল রশিদের হাতে ফিরতি ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। ভাঙে ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর ক্রিজে আসেন ইন-ফর্ম নাজমুল হোসেন শান্ত।
৪১ বলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির নিজের নবম ফিফটি পূর্ণ করেন লিটন। আর তাতে বাংলাদেশ পৌঁছায় একশোর ঘরে। জফরা আর্চারের করা ইনিংসের ১৪তম ওভারের প্রথম বলেই ৫১ রানে ফিরে যেতে পারতেন লিটন দাস। বেন ডাকেটের হাত ফসকে নতুন জীবন পেয়ে যান লিটন।
লিটন-শান্ত জুটি ছুটতে থাকে ঘোড়ার মতো টগবগিয়ে। ইংলিশ বোলিং লাইন রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়ে এই দুই ব্যাটারের তান্ডবের কাছে। শেষপর্যন্ত ব্যক্তিগত ৭৩ রানে লিটন দাস বিদায় নিলে ভাঙে জুটি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৫৭ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় অনবদ্য এই ইনিংস সাজান ওপেনার লিটন। ক্রিস জর্ডানের বলে ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে যেয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ হন সল্টের হাতে।
শান্তকে সঙ্গ দিতে আসেন ক্যাপ্টেন সাকিব। কিন্তু ডেথ ওভারে পাওয়ার হিটিং দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। জর্ডান, কারেনরা দাপট দেখিয়ে বাংলাদেশকে থামিয়ে দিল ১৫৮ রানে। শান্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে, সাকিব ৬ বলে ৪ রান করে।
শেষ ৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে কেবল ২৭ রান করতে পারে টাইগাররা। তাই বড় রানের সুযোগ থাকলেও ১৫৮ তে থামতে হয় সাকিবদের।