

১২০৫ দিন পর যেখানে মাঝে কেটেছে ৪২ সেঞ্চুরিহীন ইনিংস। অবশেষে টেস্ট ক্রিকেটে সেই সেঞ্চুরির খরা কাটালেন ভিরাট কোহলি। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেন কোহলি। দীর্ঘ বিরতির পর সেঞ্চুরিকে ডাবলে রুপ দেওয়ার সুযোগ ছিল কোহলির, তবে তা হলেও তার ১৮৬ রানের অবিস্মরণীয় ইনিংসে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের শেষ ম্যাচে ভারত লিড পেয়ে ঠিকই।
উসমান খাজা (১৮০) ও ক্যামেরুন গ্রিন (১১৫) অস্ট্রেলিয়ার এই জোড়া সেঞ্চুরি হিসাব দিল ঠিকঠাক বুঝিয়ে জোড়া সেঞ্চুরিতেই। আগের দিনে শুবমান গিলের (১২৮) আর আজ ভিরাট কোহলির (১৮৫) যেন ছাপিয়ে গেল খাজা ও গ্রিনের জোড়া সেঞ্চুরি। শুধু সেঞ্চুরি দিকে নয়, দলীয় সংগ্রহেও এগিয়ে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার ৪৮০ রানের জবাবে ভারত করেছে ৫৭১ রান। তাতে স্বাগতিকরা লিড দেয় ৯১ রানের।
রবিবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৫৯ রান নিয়ে দিনের শুরু ভিরাটের। লাঞ্চের পর ২৪১ বলে করেন সেঞ্চুরি, যাতে ছিল মাত্র ৫টি চারের মার। শ্রীকর ভারতের সাথে গড়েন ৮৪ রানের জুটি। যেখানে শ্রীকরের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান।
তবে দিনের সেরা জুটি আসে ভিরাট ও আক্সার পাটেল ব্যাটে। সিরিজে একটি মাত্র টেস্ট হেরেছে ভারত, সেই ম্যাচের দুই ইনিংসেই পাটেল ছিলেন অপরাজিত। এবার যখন বিশ্ব ক্রিকেটের নন্দিত ব্যাটারকে পেলেন উইকেটে তখন সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রমান দিলেন পাটেল। ষষ্ঠ উইকেটে ভিরাটের সাথে গড়লেন ১৬২ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। যেখানে ব্যাট নিজে করলেন ফিফটি, সাথে ভিরাটকে দিলেন দারুণ সঙ্গ। দলীয় ৫৫৫ রানে মিচেল স্টার্কের বলে পাটেল (৭৭) সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
তবে ভিরাট উইকেটে ছিলেন শেষ অবধি, শেষ ব্যাটার হিসেবে যখন ভিরাট আউট হন তখন তার নামে লেখা হয়ে যায় ১৮৬ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। ৩৬৪ বলে ১৫ চারে ১৮৬ রানের ইনিংসটি সাজান ভিরাট। সেই সাথে ভারত থামে ৫৭১ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন নাথান লায়ন ও টড মার্ফি। একটি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও ম্যাথু কুহনেম্যান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া দিন শেষ করেছে ৩ রানে কোনো উইকেট না হারিয়ে।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের প্রথম ইনিংসে উসমান খাজা (১৮০) ও ক্যামেরুন গ্রিন (১১৪) জোড়া সেঞ্চুরিতে ১৬৭.২ ওভারে ৪৮০ রান সংগ্রহ করে। ভারতের হয়ে অশ্বিন নেন ৬ উইকেট। আর মোহাম্মদ শামি শিকার করেন ২টি উইকেট।