

তৃতীয় দিনে ড্যারিল মিচেলের সেঞ্চুরিতে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে লড়াইয়ে ফিরে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। আজ হ্যাগলি ওভালে মিচেলের সেই সেঞ্চুরির জবাব শ্রীলঙ্কা দিল অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুসের ব্যাটে। ম্যাথুসের (১১৫) সেঞ্চুরিতে স্বাগতিকদের ২৮৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। রান তাড়ায় ১ উইকেটে ২৯ রানে দিন শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। শেষ দিনে জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৫৭ রান, হাতে আছে ৯ উইকেট।
রবিবার আগের দিনের ২০ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন ম্যাথুস। দিনের প্রথম সেশনে ১৩৯ বলে ৫ চারে করেন ফিফটি। এরপর দীনেশ চান্দিমাল ও ম্যাথুস মিলে পঞ্চম উইকেটে গড়েন শতরানের জুটি। দলীয় ২০০ রানে চান্দিমালকে ফিরিয়ে সেই জুটি ১০৫ রানে থামান টিম সাউদি। চান্দিমাল সাজঘরে ফিরেন ব্যক্তিগত ৪২ রানে।
ইনিংসের ৯১তম ওভারে ব্লেয়ার টিকনারকে টানা দুই চার মেরে ম্যাথুস পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। টেস্ট ক্যারিয়ারের এটি তার ১৪তম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর ব্যক্তিগত ১১৫ রানে থামে ম্যাথুসের ইনিংস। হেনরির বলে আউট হওয়ার আগে ২৩৫ বলে ১১ চারে ১১৫ রানের ইনিংসটি সাজান ম্যাথুস।
দলীয় ২৬০ রানে ম্যাথুসের বিদায়ের পর শ্রীলঙ্কার ইনিংসও আর বেশি দূর আগায়নি। সাতে নামা ধনঞ্জয়া ডি সিলভার অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংসে শেষমেশ লঙ্কানরা থামে ৩০২ রানে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২৮ ওভারে ১০০ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন ব্লেয়ার টিকনার। এছাড়া ৩টি উইকেট শিকার করেন ম্যাট হেনরি আর ২টি উইকেট নেন টিম সাউদি।
শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বাগতিকরা দিন শেষে করেছে ১ উইকেটে ২৮ তুলে। রান তাড়ায় ওপেনার ডেভন কনওয়েকে (৫) দলীয় ৯ রানে হারায় কিউইরা। এরপর টম লাথাম ও কেন উইলিয়ামসন অবিচ্ছিন্ন ২১ রানের জুটি গড়ে দিনের বাকী অংশ কাটিয়ে দেন। দিন শেষে দুজনে অপরাজিত আছেন যথাক্রমে ১১ ও ৭ রানে। ৬ ওভারে ৫ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেন লঙ্কান বোলার কাসুন রাজিথা।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৩৫৫ রান তুলে কুশল মেন্ডিস (৮৭) ও দিমুথ করুনারত্নে (৫০) জোড়া ফিফটিতে। ৬৪ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন টিম সাউদি। ৪টি উইকেট পান ম্যাট হেনরি আর বাকী একটি উইকেট পান মাইকেল ব্রেসওয়েল।
জবাবে নিউজিল্যান্ড ড্যারিল মিচেলের (১০২) সেঞ্চুরিতে তুলে ৩৭৩ রান। এছাড়া ৭২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন ম্যাট হেনরি আর ওপেনার টম লাথামের ব্যাট থেকে আসে। তাতে স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে ১৮ রানের লিড পায়।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৪টি উইকেট শিকার করেন আসিথা ফার্নান্দো। লাহিরু কুমারা নেন ৩ উইকেট। কাসুন রাজিতা নেন ২টি আর একটি উইকেট পান প্রবাথ জয়সুরিয়া।