

পিএসএলে রানের রমরমা পসরা সাজিয়ে বসেছে ব্যাটাররা। বোলারদের আরেকটি দু:স্বপ্নের রাত উপহার দিয়েছে পেশোয়ার জালমি এবং মুলতান সুলতান্সকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রাইলি রুশোর দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে জালমিকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে মুলতান। একইসাথে জালমিকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের ৩য় স্থানে উঠে গেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল।
টানা ২ দিন আড়াইশোর কাছাকাছি স্কোর করেও জিততে পারলো না জালমি। এদিনও তাদের হয়ে শুরুটা দারুণ হয়েছিল সাইম আইয়ুব ও অধিনায়ক বাবর আজমের কল্যাণে। আগেরদিন ১৬২ রানের জুটির পর এদিন তাদের জুটিতে এসেছে ১৩৪ রান। বাবর ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৭৩ এবং সাইম ৩৩ বলে ৫৮ রান করেন।
পরবর্তীতে টম কোহলার ক্যাডমোরের ১৮ বলে ৩৮ এবং মোহাম্মদ হারিসের ১১ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ৬ উইকেটে ২৪২ রান করে জালমি।
মুলতানের পক্ষে আব্বাস আফ্রিদি একাই নেন ৪ উইকেট।
জবাবে ২৮ রানের মাঝে শান মাসুদ ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মুলতান। তবে রুশো ও কাইরন পোলার্ডের মধ্যকার ৯৯ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে আসে তারা। পোলার্ড মাত্র ২৫ বলে ৫২ রান করেন।
পোলার্ডের বিদায়ের রুশো একাই দলকে টেনে নেন। মারমুখী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি পাওয়ার পাশাপাশি দলের জয়ের কাছাকাছি যেয়ে আউট হন। ৫১ বলে ১২ চার ও ৮ ছয়ে ১২১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। বাকিটুকু পথ পাড়ি দিতে বেগ পেতে হয়নি আনোয়ার আলির। ৮ বলে অপরাজিত ২৪ রান করে ৫ বল হাতে রেখে দলকে জয় পাইয়ে দেন তিনি।
জালমির পক্ষে আজমত উল্লাহ ওমরজাই ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে ৬২ রান দিয়েছেন।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার অবধারিতভাবেই যায় রুশোর কাছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পেশোয়ার জালমি: ২৪২/৬ (২০)
সাইম ৫৮, বাবর ৭৩, হারিস ৩৫, পাওয়েল ২, ক্যাডমোর ৩৮, হাসিবুল্লাহ ৭, ওমরজাই ১৬*, ওয়াহাব ৭*; আনোয়ার ৪-০-৬৬-১, উসামা ২-০-২৭-১, আব্বাস ৪-০-৩৯-৪
মুলতান সুলতান্স: ২৪৪/৬ (১৯.১)
মাসুদ ৫, রিজওয়ান ৭, রুশো ১২১, পোলার্ড ৫২, ডেভিড ২, খুশদিল ১৮, আনোয়ার ২৪*, উসামা ১১*; মুজিব ৪-০-৪৬-১, আরশাদ ৩.১-০-৫০-১, ওয়াহাব ৪-০-৩২-১, ওমরজাই ৪-০-৬২-২, সাইম ২-০-২২-১
ফলাফল: মুলতান সুলতান্স ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: রাইলি রুশো ( মুলতান সুলতান্স)