৮৮ ইনিংস পর বাভুমার সেঞ্চুরি

৮৮ ইনিংস পর বাভুমার সেঞ্চুরি
Vinkmag ad

অবশেষে সেঞ্চুরি পেলেন টেম্বা বাভুমা, তাও অধিনায়ক হিসেবে। আর তাতে ভাঙল তার ২৬২১ দিনের সেঞ্চুরি খরা। যেখানে তার প্রথম সেঞ্চুরির সাথে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দূরত্ব ৮৮ ইনিংস। বাভুমার এই এমন ঐতিহাসিক সেঞ্চুরির স্বাক্ষী মাত্র হাতেগোনা সাড়ে তিনশো দর্শক। সংখ্যায় কম হলেও বাভুমার দীর্ঘ বিরতির সেঞ্চুরি উদযাপনে তেমন কার্পণ্য করেননি তারা।

দ্য ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে বাভুমা সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দিনশেষে অপরাজিত আছেন ১৭১ রানে। তার অধিনায়কোচিত ইনিংসে স্বাগতিকরা দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ২৮৭ রানে। যেখানে তারা এগিয়ে আছে ৩৫৬ রানে।

শুক্রবার জোহানেসবার্গে এক বাভুমা ছাড়া আর কেউই সুবিধা করতে পারেননি বাইশগজে। ক্যারিবীয় বোলারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ৬৯ রানেই ৪ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। কেমার রোচ ও কাইল মেয়ার্স মিলে ৩২ রানেই প্রথম সারির তিন ব্যাটারকে ফেরান। ডিন এলগার (৫) ও টিন ডি জর্জিকে (১) ফিরিয়ে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন কাইল মায়ের্স। এরপর কেমার রোচ উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন এইডেন মার্করামকে (১৮)। ফলে ৩২ রানেই প্যাভিলিয়নে স্বাগতিকদের টপ অর্ডার।

এরপর চারে নামা বাভুমা ধরেন দলের হাল, হেনরিখ ক্লাসেনকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামালানোর চেষ্টা করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। তবে সেই যাত্রা অতটা সফল হতে পারেননি রিয়ান রিকেলটনের ব্যর্থতায়। দলীয় ৬৯ রানে তাকে ফিরিয়ে বাভুমা-ক্লাসেনের ৩৭ জুটি ভাঙেন রেমন রেইফার। তারপর হেনরিখ ক্লাসেনের সাথে আর একটি ছোটোখাটো জুটি গড়েন বাভুমা, সেই জুটি থামে ক্লাসেনের বিদায়ে। দলীয় ১০৩ রানে ক্লাসেনের উইকেট শিকার করেন আলজারি জোসেফ, ব্যক্তিগত ১৪ রানে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ক্লাসেন হাটেন প্যাভিলিয়নের পথে। ফলে সেই জুটিও থামে ৩৪ রানে। আর স্বাগতিকরা ১০৩ রানে হারায় ৫ উইকেট।

অধিনায়ক বাভুমা তখনও ইনিংস মেরামতে বদ্ধপরিকর, এই যাত্রায় বেশ সফলও তিনি৷ ষষ্ঠ উইকেটে উইয়ান মুলডারের সাথে গড়েন শতরানের জুটি। শতরানের জুটি গড়ার পথে বাভুমা কাটান ২৬২১ দিনের সেঞ্চুরি করা। ৮৮ ইনিংস পর টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান প্রোটিয়া এই অধিনায়ক। ১৯২ বলে ১২ চারে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন বাভুমা।

দলীয় ২০৬ রানে মুলডারকে (৪২) ফিরিয়ে ১০৩ রানের জুটি ভাঙেন জোসেফ। মুলডার ৪২ রানের ইনিংসটি খেলতে বল খরচ করেন ৭১টি, যেখানে তিনি হাকান ৮টি বাউন্ডারি।

এক প্রান্ত আগলে রাখা বাভুমা, সিমন হারমারকে নিয়ে আরও ৭১ রান যোগ করেন৷ যেখানে হারমারের অবদান মাত্র ১৯ রান, রান করার চেয়ে উইকেট ঠিকিয়ে রাখাটাই ছিল হারমার মূল দায়িত্ব। সেখানে বেশ সফলও হারমার। স্ট্রাইক রোটেট করে রানের চাকা সচল রাখেন বাভুমা, যেখানে সেঞ্চুরির পর করেন দেড়শো। ২৫৪ বলে ১৭ চারে ১৫০ স্পর্শ করেন বাভুমা।

দলীয় ২৭৭ রানে হারমারের উইকেট শিকার করেন জেসন হোল্ডার। ইনিংসের ৯১তম ওভারে হারমারকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন হোল্ডার, সেখানে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি হারমার। ফলে ব্যক্তিগত ১৯ রানেই থামতে হয় তাকে।

হারমারকে হারানোর পর দিনের বাকী সময়টুকু বাভুমা কাটিয়ে দেন কেশব মহারাজকে নিয়ে। দিন শেষে আছেন ১৭১ রানে অপরাজিত, সেই সাথে দীর্ঘ বিরতির পর পাওয়া সেঞ্চুরিটাকে ডাবল রুপ দেওয়ার মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায়ও বলা যায়। ২৭৫ বলে অপরাজিত ১৭১ রানের ইনিংসটি বাভুমা রাঙিয়েছেন ২০ বাউন্ডারিতে।

ক্যারিবীয়দের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন আলজারি জোসেফ ও কাইল মেয়ার্স। এছাড়া একটি উইকেট নিয়েছেন কেমার রোচ, জেসন হোল্ডার ও রেমন রেইফার।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩২০ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫১ রান করে জেসন হোল্ডারের অপরাজিত ৮১ রানের হার না মান ইনিংসে। স্বাগতিকদের ৪১ রানে ৩ উইকেট লাভ করেন জেরাল্ড কোয়েটজে। ২টি করে উইকেট শিকার করেন কাগিসো রাবাদা ও সিমন হারমার। একটি করে উইকেট পান উইয়ান মুলডার ও কেশব মহারাজ।

আর এইডেন মার্করাম (৯৬) ও টনি ডি জর্জি (৮৫) জোড়া ফিফটিতে ৩২০ সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন আলজারি জোসেফ, কাইল মেয়ার্স ও গুদাকেশ মতি। বাকী একটি উইকেট পান জেসন হোল্ডার।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব পাচ্ছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি!

Read Next

‘২২ গজে তার মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে পাশাপাশি বসে থাকা আরামদায়ক’

Total
0
Share