খাজার ডাবল মিসের আক্ষেপ, গ্রিনের সেঞ্চুরির দিনে অশ্বিনের ‘৬’

20230310 201137 scaled
Vinkmag ad

এই তো মাস দুয়েক আগেই তো সিডনিতে ছিলেন ১৯৫ রানে অপরাজিত, বৃষ্টি বিঘ্নিত সেই টেস্টে অজি দলপতি প্যাট কামিন্স তড়িঘড়ি করে ইনিংস ঘোষণা না করলেই হয়তো উসমান খাজা পেয়ে যেতেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। সেদিন ইনিংস ঘোষণাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯৫ রানেই অপরাজিত থাকতে হয়েছিল খাজাকে। তবে আজ আহমেদাবাদেও ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছেও গিয়ে ফিরেছেন ২০ রানের আক্ষেপে পুড়ে। খাজা ডাবল সেঞ্চুরি মিস করলেও, ক্যামেরুন গ্রিন নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করতে কোনো ভুল করেননি। খাজা-গ্রিনের জোড়া সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে করেছে ৪৮০ রান।

শুক্রবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটে ২৫৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে অজিরা। প্রথম দিনে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকা গ্রিন জাদেজার করা দিনের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে সিঙেল নিয়ে করেন ফিফটি।

ফিফটিও করেও উইকেটে অবিচল ছিলেন গ্রিন, খাজার সাথে পঞ্চম উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন। যেখানে প্রথম দিন ১০৪ অপরাজিত থাকা খাজা করেন দেড়শো। লাঞ্চের আগে খাজা ৩৪৬ বলে ২০ বাউন্ডারিতে স্পর্শ করেন ১৫০। লাঞ্চের পর গ্রিন ১৪৩ বলে ১৬ বাউন্ডারির সাহায্যে করেন সেঞ্চুরি। পঞ্চম উইকেটে দুজনের জুটি ছাড়িয়ে যায় দুইশো। সেঞ্চুরির গ্রিন ঠিকতে পারেননি বেশিক্ষণ, দলীয় ৩৭৮ রানে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে উইকেটরক্ষক শ্রীকর ভরতের হাতে ক্যাচ দিয়ে গ্রিন ফিরেন ব্যক্তিগত ১১৪ রানে। আর তাতেই খাজা-গ্রিনের পঞ্চম উইকেট জুটি থামে ২০৮ রানে। গ্রিন ১৭৮ বলে ১৭ চারে ১১৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি সাজান।

খাজা-গ্রিনের ২০৮ রানের জুটিটি ভারতের মাটিতে যেকোনো সফরকারী দলের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। ভারতে পঞ্চম উইকেটে ২৫৬ রানের জুটি গড়েছিলেন এভিডি ভিলিয়ার্স ও জ্যাক ক্যালিস মিলে, সেটা এই আহমেদাবাদে গড়েছিলেন ২০০৮ সালে। পঞ্চম উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫৪ রানের জুটি আসে কেইথ ফ্লেচার ও টনি গ্রেইগের ব্যাটে, তাও সেই ১৭৩ সালে।

গ্রিনের বিদায়ে ছন্দপতন হয় অজিদের ব্যাটিংয়ে, এই ওভারের পঞ্চম বলে নতুন ব্যাটার এ্যালেক্স ক্যারির উইকেট তুলে নেন অশ্বিন। এরপর মিচেল স্টার্ক ফিরেন দ্রুত, সেখানেও বোলার অশ্বিন। ফলে দারুণ ছন্দে থাকা অজিরা ৭ উইকেট হারিয়ে বসে ৪০০শ আগেই।

এরপর খাজা আগাতে থাকেন ডাবলের দিকে, তবে সেই পথে বাধার কাটা হয়ে দাঁড়ান আক্সার পাটেল। ব্যক্তিগত ১৮০ রানে খাজাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন পাটেল। তাতে অবশ্য সাড়া দেননি ফিল্ড আম্পায়ার, ফলে রিভিউ নেয় ভারত। আর তাতেই সফল রোহিত শর্মারা, খাজা প্যাভিলিয়নে পথে হাটেন ২০ রানের ডাবল সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে। ৪২২ বলে ২১ চারে ১৮০ রানের অসাধারণ ইনিংসটি সাজান খাজা। আর তাতে ৪০৯ রানে ৮ উইকেটের পতন ঘটে।

নবম উইকেটে ৭০ রানের দারুণ জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ পাঁচশোর কাছাকাছি নিয়ে যান নাথান লায়ন ও টড মার্ফি। দলীয় ৪৭৯ রানে মার্ফিকে (৪১) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে জুটি ভাঙেন অশ্বিন। এরপর লায়নকেও দ্রুত ফেরান অশ্বিন। ফলে ১৬৭.ওভারে ৪৮০ রানে থামে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। মার্ফির ৬১ বলে ৪১ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চারের মার। আর লায়ন ৯৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংসটি সাজান ৬ বাউন্ডারিতে।

অশ্বিন ৪৭.২ ওভারে ৯১ রানে শিকার করেন ৬ উইকেট। ৩১ ওভারে ১৩৪ রানে ২ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ শামি। একটি করে উইকেট শিকার করেন পাটেল ও জাদেজা।

জবাবে খেলতে নেমে ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ করেছে ৩৭ রানে। ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল অপরাজিত আছেন যথাক্রমে ১৭ ও ১৮ রানে।

১০ ওভার বোলিং করাতে অজি দলপতি স্টিভ স্মিথ ব্যবহার করেছেন চার বোলার। মিচেল স্টার্ক (৩), ক্যামেরুন গ্রিন (২), নাথান লায়ন (৩) এবং ম্যাথু কুহনেম্যান (২) মিলে করেন ১০ ওভার, তাতে অবশ্য কোনো ফল পায়নি অজিরা।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

আফগানিস্তানের বোলিং কোচ হলেন হামিদ হাসান

Read Next

পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব পাচ্ছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি!

Total
0
Share