

ফখর জামানের দাপুটে সেঞ্চুরিতে এক ম্যাচ বাদে আবারও জয়ের ধারায় ফিরে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ফিরেছে লাহোর কালান্দার্স। ২য় স্থানে থাকা ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে ১১৯ রানে হারিয়েছে তারা। পিএসএলের ইতিহাসের ইসলামাবাদের এটি সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।
দুই দলের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দেন ফখর জামান। আবদুল্লাহ শফিককে নিয়ে শুরুটা তার ভালো হয়নি। প্রথম ওভারেই শফিক বিদায় নেন। এরপর কামরান গুলামের সাথে ১২২ এবং স্যাম বিলিংসের ৭০ রানের জুটি গড়ে দলকে লম্বা স্কোরের পথ দেখান।
৫৭ বলে ৮টি করে চার ও ছয়ের মারে ১১৫ রানের অসাধারণ ইনিংস সাজান ফখর। লাহোর শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ২২৬ রানের পাহাড় গড়ে তোলে। ফখরের সেঞ্চুরি ছাড়াও গুলাম ৪১ ও বিলিংস ৩২ রান করেন।
ইসলামাবাদের পক্ষে ফজল হক ফারুকি একাই নেন ৩ উইকেট।
এরপর ইসলামাবাদ তাদের ব্যাটিংয়ে বিন্দুমাত্র জবাব দিতে পারেনি। লাহোরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে তাদের ব্যাটাররা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেন। মাত্র ১০৭ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।
দলের কোন ব্যাটারের ইনিংস ২০ রানের ঊর্ধ্বে যেতে পারেনি। সর্বোচ্চ ১৮ রান করেছে ২ জন, অ্যালেক্স হেলস এবং হাসান আলি।
লাহোরের পক্ষে রাশিদ খান ৪ উইকেট নেন। এছাড়া জামান খান ও হারিস রউফ ২টি করে উইকেট পান।
সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার বাগিয়ে নেন ফখর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
লাহোর কালান্দার্স: ২২৬/৫ (২০), শফিক ১, ফখর ১১৫, গুলাম ৪২, বিলিংস ৩২, রাজা ১*, ভিসা ৬, রাশিদ ১৫*; ফারুকি ৪-০-৪০-৩, ওয়াসিম ৪-০-৪৮-১, হাসান ৪-০-৩৩-১
ইসলামাবাদ ইউনাইটেড: ১০৭/১০ (১৫.১), হেলস ১৮, গুরবাজ ১৫, মুনরো ১১, শাদাব ১২, মুবাসির ৩, আসিফ ৭, ফাহিম ৪, হাসান ১৮, ওয়াসিম ৮, ফারুকি ০*, আজম খান (অ্যাবসেন্ট হার্ট); জামান ৩-০-১৭-২, রউফ ২.১-০-১৬-২, রাশিদ ৪-০-২১-৪, ভিসা ৩-০-১৭-১,
ফলাফল: লাহোর কালান্দার্স ১১৯ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা: ফখর জামান (লাহোর কালান্দার্স)।