বিসিএলে বল হাতে আলো ছড়ালেন যারা

বিসিএলে বল হাতে আলো ছড়ালেন যারা
Vinkmag ad

সর্বশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগে সেরা বোলারদের তালিকায় ছিল পেসারদের আধিক্য। ৬ ম্যাচে ১১ ইনিংসে ৩৩ উইকেট শিকার করে সবার শীর্ষে ছিলেন সুমন খান, সদ্য শেষ হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে সেই শীর্ষ স্থানটা ধরে রাখতে পারেননি ঢাকার এই পেসার। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ তাই পেসারদের টপকিয়ে শীর্ষে উঠেছেন বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের বা হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। একই দলে খেলা সুমন ৮ ইনিংসে ১৩ উইকেট নিয়ে আছেন চারে।

অনেক দিন ধরে কোনো আলোচনায় নেই নাজমুল ইসলাম অপু। সর্বশেষ বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের দলে থাকলেও খুব একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি অপু। বিদেশি ইমাদ ওয়াসিম থাকায় বাড়তি বা হাতি স্পিনার খেলায়নি স্ট্রাইকার্স, ফলে নিজেকে আলোচনায় নিয়ে আসার সুযোগ পাননি অপু। তবে বিসিএলে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে ১৯ উইকেট শিকার করে আবারও নিজেকে আলোচনায় নিয়ে এসেছেন বা হাতি এই স্পিনার।

ফাইনাল ম্যাচে দুই ইনিংসে ৩টি করে মোট ৬ উইকেট শিকার করে দক্ষিণাঞ্চলের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন নাজমুল। দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে নাজমুল প্রতি ইনিংসে ৪টি করে শিকার করেন ৮ উইকেট। তিন ম্যাচের ৬ ইনিংসে ২.৭৬ ইকোনমিতে ১৯ উইকেট শিকার করে বোলিংয়ে সেরা নাজমুল। বোলিংয়ে শীর্ষে থাকলেও কোনো ইনিংস ৫ উইকেট পাননি নাজমুল। ইনিংসে সেরা বোলিং ফিগার ৮ রানে ৪ উইকেট। আর এক ম্যাচে ৭৪ রানে নিয়েছেন ৮ উইকেট।

১৭ উইকেট শিকার করে দ্বিতীয় স্থানে বিসিবি মধ্যাঞ্চলের বা হাতি পেসার আবু হায়দার রনি। বিসিএল জুড়ে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ব্যাটারদের সহজে ঘায়েল করা রনি ফাইনালে ছিলেন নিষ্প্রভ। ১৯ ওভার বোলিং করে ৭০ রানে উইকেট পেয়েছেন মাত্র ১টি। তবে নিজের সেরাটা দিয়েছেন আগের দুই ম্যাচে, যেখানে ফাইনালের আগে দক্ষিণাঞ্চলের মোকাবেলায় নিয়েছিলেন ৯ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৫৫ রানে শিকার করেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন ৪ উইকেট। তার আগের ম্যাচে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে ৭ উইকেট নেন রনি। বিসিএলে ৩.৭৯ ইকোনমিতে ৫ ইনিংসে ১৭ উইকেট শিকার তাই রনি আছেন শীর্ষ দুইয়ে। ইনিংসে সেরা বোলিং ৫৫ রানে ৫ উইকেট আর ম্যাচে সেরা ১২৬ রানে ৯ উইকেট।

বিসিএলে ৪ ম্যাচের ৭ ইনিংসে বোলিং করে ১৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষ তিনে আছেন তরুণ পেসার মুশফিক হাসান। রনির মতো ফাইনালে মধ্যাঞ্চলের এই পেস তারকা ছিলেন নিষ্প্রভ। ফলাফল দক্ষিণাঞ্চল সহজেই তুলে রানের পাহাড়। তবে ফাইনালের আগের মোকাবেলায় দক্ষিনাঞ্চলের বিপক্ষে দুর্দান্তই ছিলেন মুশফিক। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ রানে শিকার করেন দক্ষিণাঞ্চলের ৫ উইকেট। উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে এক ম্যাচে দুই ইনিংসে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। আর প্রথম ম্যাচ পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে পান ৪ উইকেট। সব মিলিয়ে ৭ ইনিংসে ৩.৩৬ ইকোনমিতে ১৬ উইকেট নিয়ে মুশফিকের অবস্থান তিনে। ইনিংসে সেরা বোলিং ৫৪ রানে ৫ উইকেট। ম্যাচে সেরা ১০৬ রানে ৬ উইকেট।

সর্বশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগের শীর্ষ বোলার সুমন খান এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে হারিয়েছেন ছন্দ। চার ম্যাচে ৮ ইনিংসে উইকেট পেয়েছেন মাত্র ১৩টি। যেখানে সুমন জাতীয় ক্রিকেট লিগে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন দুইবার, সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে ৫ উইকেটের দেখা পাননি একবারও। তাতে শীর্ষ স্থান খুইয়ে তাকে নামতে হয়েছে চারে। ইনিংসে সেরা ৭৭ রানে ৪ উইকেট। ম্যাচে যা ১২৫ রানে ৫ উইকেট।

বিসিএল ফাইনালে দুর্দান্ত বোলিং করে দক্ষিণাঞ্চলকে এক ইনিংস ও ৩৩ রানে জিতিয়ে শিরোপা এনে দিয়েছেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। ফলো অনে পড়া মধ্যাঞ্চলকে দ্বিতীয় ইনিংসে একাই ভুগিয়েছেন খালেদ, ৮৪ রানে ৫ উইকেট শিকার করে শিরোপা জয় নিশ্চিত করেন খালেদ। দুই ম্যাচের ৪ ইনিংসে ১১ উইকেট শিকার করে শীর্ষ পাঁচে আছেন খালেদ।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

নেদারল্যান্ডসের কোচিং স্টাফে ডোমিঙ্গো, কুন

Read Next

আমরা সবাই রান চাই: হাথুরুসিংহে

Total
0
Share