

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ হেরেই সিরিজ খুইয়েছে টাইগাররা। মিরপুরে চিরচেনা কন্ডিশনে সাকিব-মিরাজ-তাইজুলদের চেয়ে সফল ছিলেন ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ, মইন আলিরা। এমনকি হাত ঘুরিয়ে উইকেট পেয়েছেন উইল জ্যাকসও।
২ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে এখন অব্দি সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক আদিল রশিদ। ৩ উইকেট নিলেও মইন আলি ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৩.৭৯ করে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামীকাল শেষ ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ বলছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আদিল-মইনদের এগিয়ে রেখেছে।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে মইন আলি এবং আদিল রশিদ দারুণ বোলিং করেছে। তারা বিশ্বের নানা প্রান্তে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে বেড়ায়। উপমহাদেশের এমন কন্ডিশনে কীভাবে বোলিং করতে হবে তা তাদের ভালোই জানা আছে। এশিয়ার কন্ডিশনের সাথেও তাদের ভালোই পরিচিতি আছে। তারা নিজেদের সুবিধাটা ভালোভাবেই নিচ্ছে।’
তবে নিজের শীষ্যরা মন্দ করেছেন এমন ভাবছেন না হেরাথ। প্রথম ম্যাচে মিরাজ-তাইজুলরা ভালো করেছে জানিয়ে হেরাথ বলেন ২য় ওয়ানডেতে ইংলিশ ব্যাটাররা ভালো ব্যাটিং করেছে। স্পিনারদের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট হেরাথ।
হেরাথের ভাষায়, ‘আসলে প্রথম ম্যাচে আমরা বেশ ভালো বোলিং করেছি। বিশেষ করে তাইজুল, মিরাজ এবং সাকিবও। দ্বিতীয় ম্যাচে আসলে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা ভালো ব্যাটিং করেছে। সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু কিছু বিষয়ে উন্নতি করতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে এই সিরিজে আমাদের স্পিনাররা ভালোই বোলিং করেছে।’
খেলার কোন পরিস্থিতিতে কেমন আচরণ করতে হবে তা উপলব্ধি করতে বুঝতে হবে মত হেরাথের।
‘ব্যাটাররা যখন রান করে ফেলছে তখন আমাদেরকে তা প্রতিরোধের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তখন অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হওয়া যাবে না। কিছুটা রক্ষণাত্মক হতে হবে। কখনও কখনও রক্ষণাত্মক খেললেও তা আক্রমণাত্মক হয়ে যায়। এই বিষয়গুলো আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে।’