

কক্সবাজারে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) চারদিনের ম্যাচের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে বিসিবি মধ্যাঞ্চল ও বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সাদমান ইসলামের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ২৩৪ রানে প্রথম দিন কাটিয়ে দিয়েছে দক্ষিণাঞ্চল।
প্রথমে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণাঞ্চল পিনাক ঘোষ ও সাদমান ইসলামের উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটা মন্দ করেনি। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৬ রান করতে পিনাক ও সাদমান মিলে উইকেটে কাটিয়ে দেন প্রায় পঁচিশ ওভার। যা পরবর্তী ব্যাটারদের কাজটা সহজ করে দেয়। পঁচিশ ওভার চলে যাওয়ায় বল হয়ে যায় পুরাতন, ফলে বোলারদের জন্য কাজটা কঠিন করে তুলেন পিনাক ও সাদমান। তবে সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন এনামুল হক বিজয় ও অমিত হাসান।
সতীর্থদের জন্য কাজটা সহজ করে দিলেও উইকেটে নিজেকে থিতু করতে পারেননি পিনাক। দলীয় ৪৬ রানে হাসান মুরাদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ব্যক্তিগত ১৬ রানে। এরপর এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে রানের আভাস মিললেও তিনিও ব্যর্থ হয়েছেন বড় ইনিংস খেলতে। বিসিএলে রান খরায় থাকা বিজয় ফিরেছেন মাত্র ২৩ রান করে। চলতি বিসিএলে বিজয় ৬ ইনিংসে রান করেছেন মাত্র ১৬১। ফিফটি করেছেন মাত্র একটি।
চারে নামা অমিত হাসানও ফিরেছেন খুব দ্রুত, কোনো রান করার আগেই হাসান মুরাদ তাকে ফিরিয়েছেন ডাক মারিয়ে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন বলে আজ ফাইনালে তার কাছে দলের প্রত্যাশা ছিল বেশি। তবে অমিত সেই প্রত্যাশা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে একশো আগেই তিন উইকেট হারায় দকিণাঞ্চল।
দক্ষিণাঞ্চল সেরাটা দেয় এরপর, চতুর্থ উইকেটে সাদমান ইসলাম ও ফজলে মাহমুদের অবিচ্ছিন্ন (১৩৪) শতরানের জুটিতে তারা দিন পার করে ৩ উইকেটে ২৩৪ রানে। শতরানের জুটি গড়ার পথে সাদমান করেন সেঞ্চুরি, রাব্বির ব্যাট থেকে আসে ফিফটি।
সাদমান ২১৪ বলে ১৪ বাউন্ডারি এবং ১ ছক্কায় করেন সেঞ্চুরি। দিনশেষে এই ওপেনার অপরাজিত আছেন ১৩৪ রানে। আর রাব্বিও আজ তার স্বভাবজাত ব্যাটিং স্টাইলে না খেলে, ব্যাট করেছেন রয়েসয়ে। ১৩৪ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ফিফটি করেন রাব্বি। দিন শেষে অপরাজিত আছেন ৫৫ রানে।
সাদমান ও রাব্বির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের সামনে বরই অসহায় ছিলেন মধ্যাঞ্চলের বোলাররা। দ্রুত তিন উইকেট তুলে নিলেও, দিনের বেশির ভাগ সময়েই ছিলেন নিষ্প্রভ। হাসান মুরাদ ২৫ ওভার বোলিং করে ৬৯ রানে উইকেট পেয়েছেন ২টি। আবু হায়দার রনি ১৩ ওভারে ৪২ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। আরেক পেসার মুশফিক হাসান ১১ ওভার বোলিং করে উইকেটের দেখা পাননি।
শুভাগত হোম (১৪), মো. শরীফুল্লাহ (১৮) ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (৯) তিনজন মিলে ৪১ ওভার বোলিং করেও কোনো উইকেটের মুখ দেখা হয়নি তাদের।