

ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকেই ৫ উইকেট, দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেট, মিরপুরে শেষ ম্যাচে ২ উইকেট। ২০১৫ সালে অভিষেক সিরিজটা মুস্তাফিজুর রহমান কাটান স্বপ্নের মত। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছেন এই বাঁহাতি পেসার।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে মুস্তাফিজুর রহমানের সেই আগের রূপ দেখা যায় না তেমন। শেষ ১৫ ওয়ানডেতে তার উইকেট যথাক্রমে- ১, ০, ০, ০, ০, ১, ০, ২, ১, ৪, ০, ১, ১, ০, ০। জিম্বাবুয়েতে ৪ উইকেট ছাড়া একাধিক উইকেট আসে কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজে ৩ ওয়ানডেতে ২ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজুর রহমান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ম্যাচ খেলে এখনো উইকেটশুন্য। সঙ্গত কারণেই মুস্তাফিজুর রহমান এখনো দলের অটো চয়েজ আছেন কিনা সেই প্রশ্ন উঠছে।
এই প্রশ্নের উত্তরে টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক অবশ্য বলছেন মুস্তাফিজুর রহমান তো ননই, তিনি নিজেও দলে অটো চয়েজ নন। তার দলে অটো চয়েজ বলে কিছুই নেই।
তামিম বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে গেলে, অটো চয়েজ বলে কোন কিছু নাই। আমিও অটো চয়েজ না। এই দলে অটো চয়েজ কেউ না। যদি আমি নিয়মিত পারফরম্যান্স না করি, আমি যদিও দলের অধিনায়ক, আমিও দলে থাকব না। তো অটো চয়েজ বলে কেউ কিছু না।’
অটো চয়েজ না হলেও তামিম বলছেন মুস্তাফিজুর রহমানের ওপর বিশ্বাস আছে দলের, বিশেষ করে অধিনায়কের নিজের। মুস্তাফিজের ডিফেন্সিভ স্কিল ভালো উল্লেখ করে বলছেন উন্নতি করা লাগবে উইকেট টেকিং স্কিলে।
তামিমের মতে, ‘তবে এটা ঠিক আমাদের অনেক বিশ্বাস তার ওপর। হি ক্যান ডেলিভার। কারণ ও এর আগেও করেছে। ওর খুবই ভালো ডিফেন্সিভ স্কিল আছে, ওর উইকেট টেকিং স্কিলটা একটু ইমপ্রুভ করা লাগবে। কোন সময় কোন ক্রিকেটার এক গ্রাফে যাবে না। উপর-নিচ থাকবে। আমার ওর ওপর অনেক বিশ্বাস আছে। আমি বিশ্বাস করি ও এখান থেকে বের হয়ে আসবে, এটা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই।’