

বাংলাদেশের সামনে সিরিজে টিকে থাকার লড়াই। বিপরীতে সিরিজ জয়ের পথ খুঁজছে ইংল্যান্ড। জেসন রয়ের দাপুটে সেঞ্চুরির পর জস বাটলারের ৭৬; বাংলাদেশকে ৩২৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। এটি বাংলাদেশের মাটিতে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ইংল্যান্ডের।
মিরপুর হোম অব ক্রিকেট আজ দুই ঐতিহাসিক রেকর্ডের সাক্ষী। ২০০ তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ গড়িয়েছে মিরপুর শের-ই-বাংলায়, সেই সাথে বাংলাদেশ দল খেলছে ১০০ তম ওয়ানডে ম্যাচ।
৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের পথে এগিয়ে গেছে জস বাটলারের দল। আজ ২য় ওয়ানডেতে টসে জিতে আগে ইংল্যান্ডকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামের শুরুর দুই ওভারে ৫ করে মোট ১০ রান তুলেন দুই ইংলিশ ওপেনার। তবে এই জুটি ভাঙে দলীয় ২৫ রানে। গতির ঝড় তুলে ব্রেকথ্রু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। স্লিপে দারুণ এক ক্যাচ লুফে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৫ বল খেলে ৭ রানের বেশি পাননি ফিল সল্ট।
আগের ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া জেসন রয় আজ শুরু থেকেই ছিলেন দুর্দান্ত। দারুণ সব শট খেলে ৫৪ বলে পূর্ণ করেন অর্ধশতক। হন ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের ওপেনার হিসেবে সর্বোচ্চ ফিফটির মালিক (৩৩)। পরে অবশ্য সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
মেহেদী হাসান মিরাজ বল হাতে এসেই ভাঙেন রয়-মালানের ৫৮ রানের জুটি। হার-না-মানা সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে প্রথম ওয়ানডের জয়ের নায়ক এদিন প্যাভিলিয়নে ফেরেন ১৯ বল খেলে ব্যক্তিগত ১১ রানে। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জেমস ভিন্সও (৫)।
দাপট দেখিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নিজের ১২ তম সেঞ্চুরি হাঁকান জেসন রয়। এরপর হয়েছেন আরও মারমুখী। তবে সাকিবের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে রয় আউট হন ব্যক্তিগত ১৩২ রানে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১২৪ বলে ১৮ বাউন্ডারি ও ১ ছয়ে এই ইনিংস সাজান ওপেনার জেসন রয়।
পরের ওভারে উইল জ্যাকসের (১) উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। ৪১তম ওভারে সাকিবকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। মারকুটে বাটলার মিরাজকে পরপর দুই ছয় হাঁকিয়ে পরের বলেই বিদায় নেন। নিচু হয়ে আসা দ্রুতগতির শটে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন মিরাজ।
শেষদিকে ৩৫ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে তাসকিনের তৃতীয় শিকার হন মইন আলি। স্যাম কারেন এরপর আদিল রশিদকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস শেষ করে আসেন। নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে ৭ উইকেট খুইয়ে ৩২৬ রানের সংগ্রহ স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ইংল্যান্ড। স্যাম ক্যারেন ১৯ বলে খেলেন ৩৩ রানের ক্যামিও।
বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তাসকিন আহমেদের ঝুলিতে। মিরাজ শিকার করেছেন দু’টি। এছাড়া সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম দখলে নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। তাইজুল ইসলাম ছাড়া বাকি সবাইই ওভারপ্রতি ৬ এর বেশি রান হজম করেছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ইংল্যান্ড ৩২৬/৭ (৫০), জেসন ১৩২, সল্ট ৭, মালান ১১, ভিন্স ৫, বাটলার ৭৬, জ্যাকস ১, মইন ৪২, কারেন ৩৩*, আদিল ৬*; সাকিব ১০-০-৬৪-১, তাইজুল ১০-০-৫৮-১, তাসকিন ১০-০-৬৬-৩, মিরাজ ১০-০-৭৩-২।