কক্সবাজারে মুমিনুল, জহুরুলের সেঞ্চুরি

মিরপুরে অধিনায়ক মুমিনুলের সেঞ্চুরি
Vinkmag ad

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আবার বাংলাদেশের কোচ হওয়ায় হয়তো একটু বেশিই সতর্ক মমিনুল হক। তাই তো বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিজের সামর্থ্যের কথা জানান দিয়ে রেখেছেন আগেই। কক্সবাজারে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে মমিনুল খেলেছেন ১৩৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। পাশাপাশি জহুরুল ইসলামের সাথে তৃতীয় উইকেটে গড়েছেন ১৯৪ রানের জুটি। জহুরুলও করেছেন সেঞ্চুরি। মমিনুল-জহুরুলের জোড়া শতকে ইসলামি ব্যাংক পূর্বাঞ্চল লিড পায় ২৫ রানের।

সোমবার কক্সবাজারে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২ উইকেটে ২১৭ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেন মমিনুল হক ও জহুরুল ইসলাম। দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে মাঠ ছাড়েন মমিনুল, পাশাপাশি জহুরুলও করেন ফিফটি। তৃতীয় দিনে সকালটা তাই দুজনে কাটিয়ে দিতেন চান খুব সতর্কতার সাথে। ১০৩ রানে অপরাজিত থাকা মমিনুলের ব্যাট উইকেটের চারপাশে চলছিল ঠিকঠাক, জহুরুলও ছিলেন সাবলীল।

দলীয় ২৭৫ রানে মমিনুলকে (১৩৪) ফিরিয়ে ১৯৪ রানে জুটি ভাঙেন নাসির হোসাইন। মমিনুল ১৯৮ বলে ১৩৪ রান করেন ১৭ চার এবং ৩ ছক্কায়। এরপর ইয়াসির আলী রাব্বিকেও দ্রুত ফেরান সালাউদ্দিন শাকিল।

১৮৯ বলে সেঞ্চুরি করে জহুরুল ইসলামও ফিরেন দ্রুত। সালাউদ্দিন শাকিলের বলে আউট হওয়ার আগে জহুরুল ১৯৩ বলে করেন ১০৩ রান। যাতে ছিল ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার মার।

৩২৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর পূর্বাঞ্চলের ইনিংস অগ্রসর হয় শাহাদাত হোসাইন দিপুর ব্যাটে। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন দিপু, কিন্তু অপরপ্রান্তে পূর্বাঞ্চল নিয়মিত হারায় উইকেট। সালাউদ্দিন শাকিলের তৃতীয় শিকার হয়ে পারভেজ হোসেন ইমন (১) ফিরেন দলীয় ৩৩৩ রানে।

এরপর দিপুকে কিছুটা সঙ্গ দেন তানভীর ইসলাম। দুজনে মিলে যোগ করেন ২৭ রান। যেখানে তানভীরের অবদান ৭, বাকী রান আসে দিপুর ব্যাটের পাশাপাশি অতিরিক্ত খাত থেকে। সানজামুল ইসলামের বলে তানভীর ফিরেন সাজঘরে। দুই ওভার পরে এসে মো. আনামুল হককেও ফেরান সানজামুল। ফলে ৩৭২ রানে ৮ উইকেটের পতন ঘটে।

সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে দিপু ৮৪ বলে করেন ফিফটি। দলীয় ৩৯৮ রানে দিপুকে থামান আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। দিপু ১০৪ বলে খেলা ৬৮ রানের ইনিংসটি সাজান ৯ চার এবং ১ ছক্কায়। এক ওভার পরে এসে আবু জায়েদ রাহিকে (২) আউট করে পূর্বাঞ্চলকে ৪০৩ রানে গুটিয়ে দেন বিপ্লব।

৫৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন সালাউদ্দিন শাকিল। ২টি করে উইকেট নেন সানজামুল ও বিপ্লব। এছাড়া একটি করে উইকেট লাভ করেন নাসির ও তানজিম।

২৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি উত্তরাঞ্চলের। উদ্বোধনীয় জুটিতেই সেই রান টপকে গিয়ে লিড নেয় উত্তরাঞ্চল। তৌফিক খান তুষার ও তানজিদ হাসান তামিম মিলে মাত্র ৬.৩ ওভারে যোগ করেন ৫৭ রানে। আক্রমনাত্মক খেলতে গিয়ে ২৭ বলে ৩৯ রান করে তুষার ফিরেছেন রিপন মন্ডলের বলে। ৩৯ রানের ইনিংসটি তুষার সাজান ৫ চার এবং ৩ ছক্কায়। আরেক ওপেনার তানজিদ ফিরেন দ্রুত, ব্যক্তিগত ৩৩ রানে তানজিদ আউট হন তানভীরের শিকারে।

তিনে নামা মাহমুদুক হাসান জয়ও ফিরেন ব্যক্তিগত ১৫ রানে। তাকে ফেরান পেসার আনামুল হক। ফলে ১০৪ রানে ৩ উইকেট হারায় উত্তরাঞ্চল। আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের সাথে অবিচ্ছিন্ন ৩৪ জুটি গড়ে নিরাপদে মাঠ ছেড়েছেন নাইম ইসলাম। দিনশেষে দুজনেই অপরাজিত আছেন ২৫ ও ২০ রানে। উত্তরাঞ্চলের সংগ্রহ ৩০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান।

একটি করে উইকেট নিয়েছেন রিপন মন্ডল, মো. আনামুল হক ও তানভীর ইসলাম।

এর আগে উত্তরাঞ্চল নাইম ইসলামের (১০৭) সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩৭৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। নাইম ছাড়াও ফিফটি আসে সানজামুলের (৫৮) ব্যাট থেকে। ৯৩ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন পূর্বাঞ্চলের আবু জায়েদ রাহি। ৯২ রানে ৩ উইকেট পান তানভীর ইসলাম। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন আনামুল ও মোহাম্মদ আশরাফুল।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

নিজে দেখেননি, বিসিবি সভাপতি বলছেন ‘সব শোনা কথা’

Read Next

সাদমান, অমিতের জোড়া শতকে বগুড়ায় এগিয়ে দক্ষিণাঞ্চল

Total
0
Share