

বল হাতে গতির ঝড় তুলে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর পাঁচ শিকার। ১২১ রানেই গুটিয়ে যায় ফরচুন বরিশাল। এরপর লিটন দাসের লড়াই; আন্দ্রে রাসেল ও খুশদিল শাহ’র ব্যাটিং ঝড়। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পেয়ে যায় পাঁচ উইকেটের জয়। টানা জয়ে কুমিল্লার অবস্থান এখন টেবিলের দুইয়ে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো ফাই-ফার পূর্ণ করলেন মুকিদুল। তার পেস আগুনেই পুড়ে ছাই বরিশালের ব্যাটিং লাইন। ৩.১ ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচায় পাঁচ উইকেট দখলে নেন মুগ্ধ। ব্যাট হাতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জয় নিশ্চিত করে শেষদিকে দাপট দেখান আন্দ্রে রাসেল ও খুশদিল শাহ। ৯ বল হাতে রেখেই তারা পায় ৫ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়।
আগে ব্যাট করে ফরচুন বরিশাল স্কোরবোর্ডে জমা করে ১২১ রান। সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সমান ২৬ বল খেলে করিম জানাত করেন ৩২ রান। ১৭ রানে থামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই তিন ব্যাটার ছাড়া বরিশালের আর কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অংকের ঘর।
দুই ক্যারিবীয় তারকা আন্দ্রে রাসেল ও সুনিল নারাইন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিপিএল খেলতে গতরাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। আজ নেমে পড়েছেন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে। সঙ্গে সেরা একাদশে ফিরলেন ওপেনার লিটন দাস। গতকাল ঢাকায় ফিরে বরিশালের জার্সিতে নেমে পড়ে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও ইফতিখার আহমেদ।
শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়ে টস জিতে আগে বোলিং বেছে নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দলপতি ইমরুল কায়েস। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শুরুতেই ইন-ফর্ম এনামুল হক বিজয়কে (৩) বিদায় করেন তানভীর ইসলাম। আরেক ওপেনার ফজলে মাহমুদ রাব্বি (৮) হয়েছেন রান-আউটের শিকার।
তিনে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সাকিবকে নিয়ে। কিন্তু আজ মিরপুরে জ্বলেনি সাকিবের ব্যাটে আলো। ব্যক্তিগত ৬ রানে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বলে বোল্ড হন সাকিব। আগের রাতে পাকিস্তান থেকে উড়ে আসা ইফতিখার আহমেদ করেন ৮ বলে ৪। আন্দ্রে রাসেলের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ইফতিখার।
এরপর করিম জানাত ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে চড়ে শতরানের গণ্ডি পেরোয় বরিশাল। শেষপর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ১২১ রানে থামে সাকিবদের ব্যাটিং।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ৬ বলে ১১ রানে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। তিনে নামা জাকের আলি অনিককে (১০) বোল্ড করেন সাকিব। ক্যাপ্টেন সাকিব এদিন বল হাতে রীতিমতো জাদু দেখান। প্রথম ওভারে মেডেন দিয়ে পরের ওভারে খরচ করেন ৩ রান। তৃতীয় ওভারে ১ রান খরচায় নেন ১ উইকেট।
এরপর দ্রুতই ফিরে যান অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (৫)। এবাদতের বলে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে মোসাদ্দেক আউট হন। ৫ বল খেললেও ১ রানের বেশি পাননি মোসাদ্দেক। এবাদত নিজের কোটার শেষ ওভার করতে এসে তুলে নেন ইন-ফর্ম লিটন দাসের উইকেট। ৩৯ বল খেলে ৫ চারের সাহায্যে ৩৬ রান করেন লিটন।
প্রথম তিন ওভারে মোটে ৪ রান খরচ করা সাকিব নিজের শেষ ওভার করতে এসে দেন ১৭ রান। আন্দ্রে রাসেল ও খুশদিল শাহ সাকিবকে জোড়া ছয় ও বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ বের করে নিয়ে এসেন। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমকে ৬ হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন রাসেল।