

আরও একবার সাকিব-তামিমদের হেড কোচ হলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ২০১৭’তে বিদায় বলে যাওয়া সেই চিরচেনা হাথুরুর হাতেই রাজত্ব তুলে দিতে প্রস্তুত বিসিবি। ফের বাংলার ক্রিকেটে হাথুরুর আগমন দেখে খুশি বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। অভিজ্ঞ হাথুরুসিংহেকে ভাসালেন প্রশংসা বন্যায়।
এটি হবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাথে হাথুরুর দ্বিতীয় স্পেল। তিনি এর আগে ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত কোচ ছিলেন। ৫৪ বছর বয়সী হাথুরুসিংহে বিসিবির সাথে দুই বছরের মেয়াদে চুক্তি সম্পন্ন করেছেন। যা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।
আজ খুলনা টাইগার্সের হেড কোচ ও বিসিবি ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সামনে। প্রশংসায় ভাসিয়েছেন টাইগারদের নতুন হেড কোচ হাথুরুসিংহেকে। সুজনের আশা, অভিজ্ঞ হাথুরুর অধীনে ভালো করবে বাংলাদেশ,
‘হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের জন্য কাজ করে গেছে। আমাদের প্লেয়ারদের খুব ভালো চিনে। আমাদের ক্রিকেট ভালোভাবেই ওর নখদর্পণে আছে। আমি তো আশা করছি ভালো কিছু হবে। বাকিটা সময় বলবে। তখন যখন হাথু এসেছিল ৪৬ বছর বয়স, ইয়াং ছিল। এখন অনেক অভিজ্ঞ হয়েছে। আমরা ম্যাচিউরড হাথুকে পাবো। ভালো হওয়ার চিন্তা করেই তো বিসিবি ওকে আনছে। আশা করছি ভালো কিছু হবে।’
সহকারী কোচ হিসেবে হাথুরুর সঙ্গে বাংলাদেশি কাউকে রাখা হবে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সুজন বলেছেন মনের কথা,
‘হাথুর সাথে আমার একটা ভালো সম্পর্ক আছে। অলরেডি ওর সাথে আমার ফোনে আলাপ হয়েছে। এবং এই ব্যাপারটা নিয়ে আমার সাথে একটা ব্রিফ আলাপ হয়েছে। ও অনেক পজিটিভ। ও চাই বড় একটা টিম ম্যানেজমেন্ট থাকুক, লোকাল কোচিং স্টাফ থাকুক। টিম বাইরে চলে গেলে যাতে অন্যান্য প্লেয়াররা প্র্যাক্টিস করতে পারে। এই ব্যাপারে ও আমাকে ইনফ্লুয়েন্স করেছে। ও আসলে আমরা এটা নিয়ে কাজ করতে পারব। আমি আশা করি এবার এটা নিয়ে স্বার্থক হব।’
হাথুরুসিংহে এলে আগের ইস্যুগুলো আসতে পারে, আপনি ছিলেন, এখনও থাকবেন, ড্রেসিং রুম কেমন দেখেন? জবাবে সুজনের বড় উত্তর,
‘খুব ক্লিন ড্রেসিং রুম ছিল, যখন হাথু ছিল। দেখেন আমরা সব সময় একটা কথা বলি, মিডিয়াতে আমিও শুনি যে কড়া হেডমাস্টারের মতো কথা বলে ও। আমার মনে হয়, হি ইজ নট দ্যাট কড়া। যেরকম করে আমরা বলি, সেরকম কিন্তু ও না। ও যেটা হয়… আমি পার্সোনালি কী চাই, আমার পিছে কথা না বলে সামনে কথা বলেন, এটাই তো ভালো মানুষের লক্ষণ। আমি মনে করি, হাথু ভালো মানুষ। যা বলে পিছে কোনো কথা বলে না, যা বলে সামনে বলে। পিছে গসিপিংয়ের চেয়ে একটা প্লেয়ারকে যদি আপনি সামনে থেকে বলেন, তোমার থেকে আমি এটা চাই বা তোমার এই জিনিসটা ভালো না, আমি এটা খারাপ তো দেখি না। এটা যদি কড়া হেডমাস্টার হয়ে যায়, তাহলে ও কড়া হেডমাস্টার। বাট আমি মনে করি, আমি অনেক কোচের সাথে কাজ করেছি বাংলাদেশে যারা সামনে একরকম পিছে অন্যরকম কথা বলে।’
‘কিন্তু আমি হাথুরুর ব্যাপারে একটা কথা বলব, হাথুরুর এই গুণটা আমার দারুণ লাগে যে ও যা বলে সামনে বলে। আর ও সাকিব কিংবা তামিম… ডেফিনিটলি তারা রেস্পেক্টেড, বড় প্লেয়ার, সিনিয়র প্লেয়ার, ইম্পরট্যান্ট প্লেয়ার আমাদের টিমের। কিন্তু ওই ডেফিনেশনটা (নাকি ডেস্ক্রিমিনেশন?) তো তৈরি করে না টিমের মধ্যে যে একটা ইয়াং প্লেয়ারের যে রেস্পেক্টটা পাওয়া উচিত, আমার মনে হয়, সে রেস্পেক্টটা হাথু সব সময় সবাইকে দিয়েছে। বাট আমি নেগেটিভ সেন্সে নিতে চাই না। দেখেন, তখন যে সময় ছিল, ও নিজেও ইয়াং ছিল। আমাদের যে একটা অবস্থা ছিল যে আমরা জিততে পারছিলাম না। আমাদের অনেক কিছু চেঞ্জ করতে হয়েছে তখন। এখন তো পরিস্থিতি অন্যরকম। হাথুও অনেক ম্যাচিউরড, যে কথাটা বললাম। আমার মনে হয়, যদি আমরা পজিটিভভাবে নেই, সব কিছু ঠিক থাকে, আমার মনে হয় না যে আমরা খারাপ করব ওর আন্ডারে, আমাদের ভালো করারই কথা।’