লো-স্কোরিং ম্যাচে নাসিরদের ডুবিয়ে চট্টগ্রামের স্বস্তির জয়

FB IMG 1675768439281
Vinkmag ad

পরাজয়ে বিপিএল শেষ করল ঢাকা ডমিনেটরস। চটগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১১৮ রানে আটকে দিয়েও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় জয়ের মুখ দেখেনি নাসিরের ঢাকা। কার্টিস ক্যাম্ফার, মৃত্যুঞ্জয়, জিয়াউরের বোলিং তোপের সামনে পড়ে ১০৩ রানেই শেষ ঢাকার ইনিংস। টানা ছয় হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখল চট্টগ্রাম।

বিপিএলে লো-স্কোরিং ম্যাচে শেষ হাসি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। মিরপুরে ঢাকার বিপক্ষে ১৫ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে তারা।

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রানের বেশি করতে পারেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কেবল তিন ব্যাটার ছুঁয়েছেন দুই অংকের ঘর। সর্বোচ্চ ৩৪ রানের হার-না-মানা ইনিংস খেলেন জিয়াউর রহমান। শেষবেলায় তার ক্যামিওতে চড়েই শতরানের গণ্ডি পেরোয় চট্টগ্রাম।

ওপেনার মেহেদী মারুফ ২১ বলে ৮ করে হয়েছেন রান-আউট। আরেক ওপেনার ইরফান শুক্কুর ৯ বলে করেন ৭। তিনে নামা উন্মুখ চাঁদ হয়েছেন ডাক। ১ রানের বেশি পাননি আফিফ হোসেন ধ্রুব ও অধিনায়ক শুভাগত হোম।

মাঝে ২৯ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে ফেরত যান উসমান খান। কার্টিস ক্যাম্ফারের ব্যাট থেকে আসে বাউন্ডারিবিহীন ১১ রানের ইনিংস। দারউইশ রাসুলির সংগ্রহ ১১ বলে পাঁচ। ৮০ রানে ৮ উইকেট খুইয়ে ফেলা চটগ্রামকে এরপর শতরানের গণ্ডি টপকিয়ে দেন জিয়াউর রহমান। ২০ বল খেলে তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে।

১১৯ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ঢাকা ডমিনেটরসের ওপেনার আবদুল্লাহ আল মামুন ৮ বল খেলে ফেললেও ২ রানের বেশি করতে পারেননি। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার আজ তাণ্ডব চালান শুরু থেকেই। কিন্তু প্রথম পাওয়ার-প্লের মধ্যেই তার স্টাম্প ভেঙে দেন ক্যাম্ফার। ৩ বাউন্ডারিতে ১৬ বলে ২১ রান করে প্যাভিলিয়নে যান সৌম্য।

তিনে নামা আরিফুল হক আউট হন ৭ রানে। এরপর নিহাদুজ্জামান এসে তুলে নেন ১৩ রানে থালা অ্যালেক্স ব্লেকের উইকেট। ব্যক্তিগত ২১ রানে থাকা নাসিরের সহজ ক্যাচ ছাড়েন আফিফ। নতুন জীবন পেয়েও উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি ঢাকার অধিনায়ক নাসির। ক্যাম্ফারের বলে নাসির (২৪) বল তুলেছেন আকাশে, বিদায় করতে দারুণ এক ক্যাচ নেন মেহেদী মারুফ। এই ক্যাচটি নিঃসন্দেহে টুর্নামেন্টের সেরা ক্যাচের একটি।

এরপর আমির হামজার ক্যাচও লুফে নেন মেহেদী মারুফ। ১৯তম ওভারে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী করলেন জোড়া শিকার। আর তাতেই ম্যাচের ভাগ্য চলে আসে চট্টগ্রামের কাঁধে। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ঢাকার সামনে সমীকরণ ১৯ রানের।

জিয়াউর রহমানের এই ওভার থেকে মাত্র ৩ রান নিতে পারে ঢাকা। এরমাঝেই আরাফাত সানিকে বোল্ড করেন জিয়া। ১০৩ রানে আটকে দিয়ে নিশ্চিত করে ১৫ রানের জয়।

চট্টগ্রামের হয়ে বল হাতে মাত্র ১৫ রান খরচায় কার্টিস ক্যাম্ফার দখলে নেন তিন উইকেট। এছাড়া মৃত্যুঞ্জয়ের ঝুলিতে আসে জোড়া উইকেট।

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

শেষ দুই ম্যাচে তামিমকে খেলাবে না খুলনা

Read Next

হাথুরুকে প্রশংসা বন্যায় ভাসিয়ে যা যা বললেন সুজন

Total
1
Share