সিলেটের টপে ফেরার ম্যাচে হারের ফাই-ফার পূর্ণ করল চট্টগ্রাম

featured photo updated 13
Vinkmag ad

নাজমুল হোসেন শান্ত এবার রানের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন সিলেটে। আজও হেসেছে তার ব্যাট। ফিফটি হাঁকিয়ে রান স্কোরারের লিস্টে শান্ত এখন সবার উপরে। শান্ত’র পর মুশফিক-বার্লের ঝড়; সিলেটে প্রথম জয়ের দেখা পেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফের টেবিলের শীর্ষস্থান দখল কর মাশরাফির দল।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের টেবিল টপ পুনরুদ্ধার করার ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স পেল টানা পাঁচ হারের স্বাদ; অবস্থান নিল তলানিতে। ম্লান হয়ে গেল অধিনায়ক শুভাগত হোমের হার-না-মানা ইনিংসটাও। ক্যাচ মিস ও ফিল্ডিং মিসের মহড়ায় ম্যাচটাই যে তাদের হয়ে গেল মিস। এই সুযোগেই ২ ওভার বাকি থাকতে সিলেট স্ট্রাইকার্স নিশ্চিত করল ৭ উইকেটের বড় জয়। 

ঘরের মাঠে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নামে সিলেট স্ট্রাইকার্সের। টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু মাশরাফি বিন মর্তুজার প্রথম বলেই নেই উসমান খানের উইকেট। পয়েন্ট পজিশনে দুর্দান্তভাবে ক্যাচ লুফে নেন জাকির হাসান। এরপর মেহেদী মারুফের সঙ্গে জুটি গড়ে লড়াই চালান আফিফ হোসেন।

৩৬ বল খেলে এবারের বিপিএলে প্রথম ফিফটির দেখা পান মেহেদী মারুফ। আফিফ-মারুফ জুটি এগিয়ে যাচ্ছিলো বেশ ভালোভাবেই। কিন্তু ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে আমিরের বলে লেগ বিফোর হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩৪ রানে থাকা ইন-ফর্ম আফিফ। ভাঙে ৬৫ বলে গড়া ৮৮ রানের জুটি।

কোটার শেষ ওভার করতে এসে ইমাদ ওয়ায়সিমের জোড়া শিকার। মেহেদী মারুফকে ফিরিয়ে তিন বলের মাথায় বোল্ড করেন ম্যাক্স’ও ডাউডকে। পঞ্চাশের পর কেবল ২ রান যোগ করেন মারুফ। ম্যাক্স’ও তিন বলে করেছেন কেবল ১। ৭ বলের মধ্যে তিন উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

অধিনায়ক শুভাগত হোমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন কার্টিস ক্যাম্ফার (৪)। থিসারা পেরেরার এই ওভারেই পরপর বাউন্ডারি ও দুই ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুভাগত স্বস্তি এনে দেন চট্টগ্রাম শিবিরে। দারুণ খেলতে থাকা ইরফান শুক্কুরও কাটা পড়েন রান আউটে। ২৬ বলে ফিফটি বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি পূর্ণ করেন শুভাগত হোম। তার অধিনায়কোচিত ইনিংসে চড়েই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স পায় ১৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। এই দুইয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ইনিংসের ৯তম ওভারে। দলীয় ৬৩ রানে ব্যক্তিগত ১৫ রানে উইকেট হারান তৌহিদ হৃদয়। কিন্তু চট্টগ্রামের বোলাররা থামাতে পারেনি শান্তকে।

দাপট দেখিয়ে চলতি বিপিএলে নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৬ তুলে নিলেন তৃতীয় ফিফটি। তবে ব্যক্তিগত ৬০ রানে নিহাদুজ্জামানকে এগিয়ে খেলতে এসে হয়েছেন স্টাম্পিংয়ের শিকার। এর আগেই সাকিব, নাসিরকে টপকে জায়গা করে নিলেন রান সংগ্রাহকদের তালিকার শীর্ষস্থান। একে থাকা শান্ত ৫০ গড়ে করেন মোট ৩৫০ রান। সাকিবের ৩০৬ ও নাসিরের সংগ্রহে ২৯১ রান।

শান্তকে সঙ্গ দিতে এসে মুশফিকুর রহিমও এদিন দুর্দান্ত ফর্মে। এরপর মুশফিকের সঙ্গে জুটি হয় জিম্বাবুইয়ান তারকা রায়ান বার্লের। নিহাদুজ্জামানের ৮ বলের এক ওভারে রায়ান বার্ল তান্ডব চালিয়ে তুলেন মোট ২৯ রান। আর তাতেই সিলেটের জয়ের লক্ষ্য নেমে আসে ২৯ রানে, ৩০ বলে।

বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে নেমেই চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন বার্ল। তবে ১৬ বলে ৪১ রান করা বার্ল শেষপর্যন্ত ফিরেন ক্যাচ হয়ে। ২৫৬.২৫ স্ট্রাইক রেটের এই মারকুটে ইনিংসে বার্লের ব্যাট থেকে আসে চার ৪ ও ৩ ছয়।

মুশফিক ৪১ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। বার্লের বিদায়ের পর জাকির হাসান ৫ বলে খেলেন ১২ রানের ক্যামিও ইনিংস। দুই ওভার বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বড় জয়।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

বিপিএলের ৪ কিলো দূরত্বে জিলা স্টেডিয়াম মাতাচ্ছেন জেমস

Read Next

শান্তকে বিসিবির ভর্ৎসনা

Total
15
Share