শেষ ওভারের নাটকীয়তায় কুমিল্লার ৪ রানের জয়

featured photo updated v 39
Vinkmag ad

লিটন, রিজওয়ানের জোড়া ফিফটিতে চড়ে লড়াকু সংগ্রহ পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এরপর নাসিম শাহ, মুস্তাফিজদের বোলিং তোপে ম্যাচ আসে কুমিল্লার হাতে। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ৪ রানের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিল ইমরুল কায়েসের দল। ৮ ম্যাচে পাঁচ জয় নিয়ে টেবিলের তিনে জায়গা আরও শক্ত করল কুমিল্লা।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভার শেষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্কোরবোর্ডে আসে ৩৩ রান। মোহাম্মদ রিজওয়ান ধীরগতির হলেও লিটন দাসের ব্যাট থেকে ছুটে বাউন্ডারির ফুলঝুরি। ইনিংসের ১০তম ওভারের চতুর্থ বলে নাহিদুলকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন লিটন। কিন্তু লিটন এর পরের বলেই ক্যাচ তুলে ফেরত যান প্যাভিলিয়নে। ৯টি চারে ৪২ বলে সাজানো তার এই পঞ্চাশের ইনিংস।

লিটন-রিজওয়ানের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৯ বলে ৬৫। এরপর রিজওয়ান-চার্লেসের জুটিতে কুমিল্লার স্কোরবোর্ডে যোগ হয় আরও ৬০ রান, ৩৮ বলে। ওয়াহাব রিয়াজ নিজের দ্বিতীয় স্পেলে এসেই বিদায় করেন জনসন চার্লসকে। ৫টি ছক্কা হাঁকিয়ে রীতিমতো ভয়ংকর হয়ে উঠা চার্লস ২২ বলে করেন ৩৯ রান।

এরপর স্বদেশী খুশদিল শাহকে নিয়ে লড়াই চালান রিজওয়ান। এই দু’জনেই দলের ইনিংস শেষ করে আসেন। ২৫ বলের এই পার্টনারশিপ থেকে আসে ৪০ রান। ৪২ বলে ফিফটি পূর্ণ করা রিজওয়ান শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫৪ রান নিয়ে। তাকে সঙ্গ দেওয়া খুশদিল করেন ১১ বলে ১৩। ২ উইকেটে ১৬৫ রানে থামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ইনিংস।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই খুলনার ওপেনার তামিম ইকবালকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন নাসিম শাহ। ২ বাউন্ডারিতে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ১১। এরপর শাই হোপ আর অ্যান্ডি বালবার্নির ব্যাট থেকে আসে ৪৯ রান। প্রথম ওভারে কেবল ১ রান খরচ করা মুস্তাফিজুর রহমান পরের ওভারে এসেও দেন ১ রানই। এই ওভারেই বালবার্নি হন রান-আউটের শিকার। বিপিএলের অভিষেকে ৩৮ রানে থামে বালবার্নি।

এরপর মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ১২তম ওভারে এসে জয় আর হোপের কাছে খরচ করেন মোট ২১ রান। কিন্তু মাহমুদুল হাসান জয়ের তান্ডব বেশিক্ষণ চলতে দেননি মোসাদ্দেক। রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ১৩ বলে ২৬ রান আসে জয়ের ব্যাট থেকে। পরের ওভারেই তানভীর আহমদের কুইকার ডেলিভারিতে লিটনের কাছে ক্যাচ হন আজম খান (১)। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় খুলনা।

আগের দুই ওভার দারুণ করেও উইকেটশূন্য থাকা মুস্তাফিজ সাফল্য পান দ্বিতীয় স্পেলে এসে। ৮ রানে থাকা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বল আকাশে ভাসিয়ে চার্লসের কাছে দেন সহজ ক্যাচ। থিতু হয়েও দলকে টেনে নিয়ে যেতে ব্যর্থ শাই হোপ। নাসিম শাহ’র শেষ ওভারের প্রথম বলেই হয়েছেন বোল্ড।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার দরকার হয় ১৭ রান। ডট দিয়ে ওভার শুরু করেন মোসাদ্দেক। পরের বলে দৌড়ে এক রান নেন ওয়াহাব রিয়াজ। এরপর দুই ফুলটস বলে অধিনায়ক রাব্বি হাঁকান দুই বাউন্ডারি। পঞ্চম বলে নেন ডাবল। শেষ বলে দরকার ৬ রানের, স্ট্রাইকে রাব্বি।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

সিলেটে বসে সানিয়া মির্জার উদ্দেশে শোয়েব মালিকের বার্তা

Read Next

পিএসএল দিয়ে মাঠে ফিরছেন আফ্রিদি

Total
18
Share