

রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে আর্থিক জরিমানা ও ফাস্ট বোলার হারিস রউফকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। এই দুজনই সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ম্যাচে ভাঙেন বিসিবির কোড অব কন্ডাক্ট।
এক সংবাদ বিবৃতি দিয়ে বিসিবি জানিয়েছে এই দুজনই লেভেল ১ এর কোড অব কন্ডাক্ট ভেঙেছেন। রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে তার ম্যাচ ফি’র ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। পাকিস্তানি গতিতারকা হারিস রউফকে করা হয়েছে আনুষ্ঠানিক ভর্ৎসনা।
নুরুল ও রউফ দুজনেই বিসিবির কোড অব কন্ডাক্টের অনুচ্ছেদ নম্বর ২.৮ ভঙ্গ করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়ারের কোন সিদ্ধান্তে ভিন্নমত পোষণ করা যাবে না।
আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি নুরুল হাসান সোহানের ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডে যুক্ত হয়েছে ২ ডিমেরিট পয়েন্ট। এই টুর্নামেন্টে ডিমেরিট পয়েন্ট সোহানের সাকুল্যে হল ৩। আনুষ্ঠানিক ভর্ৎসনা পাওয়া রউফের ডিমেরিট পয়েন্ট ১।
কোড অব কন্ডাক্টের অনুচ্ছেদ নম্বর ৭.৫ অনুযায়ী টুর্নামেন্টে কোন ক্রিকেটারের ডিমেরিট পয়েন্ট ৪ হয়ে গেলে এই পয়েন্ট মিলে ম্যাচ সাসপেনশনে পরিণত হবে। তাই সোহান আর এক ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেই এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হবেন।
অনফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও প্রগিত রাম্বুকওয়েলা, তৃতীয় আম্পায়ার তানভীর আহমেদ ও চতুর্থ আম্পায়ার আলি আরমান রাজন দুজনের বিপক্ষে অভিযোগ দায়ের করেন। যা আমলে নিয়ে শাস্তি দেন ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল। দুজনেই শাস্তি মেনে নিলে আনুষ্ঠানিক শুনানির দরকার পড়েনি।
লেভেল ১ এর কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গে সর্বনিম্ন শাস্তি আনুষ্ঠানিক ভর্ৎসনা। সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানাম সাথে ১ বা ২ ডিমেরিট পয়েন্ট।