

বিপিএল ঢাকায় ফিরতেই জয়ে ফিরল রংপুর রাইডার্স। বিপরীতে টানা তিন হার দেখল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শোয়েব মালিকের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের পর হারিস রউফ ও রাকিবুলদের বোলিং জাদু। রংপুর তুলে নিল ৫৫ রানের বড় জয়। ব্যাটিংয়ে নামা’ই হল না আফিফ হোসেনের।
বিপিএলের ঢাকার দ্বিতীয় পর্বের শুরুতেই শোয়েব মালিকের দাপট। হার-না-মানা ৭৫ রানের ইনিংসে মালিক রংপুরকে এনে দেন ১৭৯ রানের বড় সংগ্রহ। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স করতে পারে কেবল ১২৪। অধিনায়ক শুভাগত হোমের ফিফটির ইনিংসের পরও বড় হার এড়াতে পারেনি চট্টগ্রাম।
এর আগে চট্টগ্রামের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম তিন বলেই উইকেট হারায় রংপুর রাইডার্স। রনি তালুকদারের বদলে ওপেনিংয়ে এসে ১ রানের বেশি করতে পারেননি শেখ মেহেদী হাসান। তিনে নামা পারভেজ হোসেন ইমনও উইকেটে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৬ রানে শুভাগত হোমের বলে ক্যাচ তুলে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে।
এরপর শোয়েব মালিকের সঙ্গে বড় জুটি গড়ার আগেই বিদায় নিতে হয় ওপেনার মোহাম্মদ নাইমকে। ২৯ বল খেলে ৩৪ রানে নাইম যখন ফেরেন তখন স্কোরবোর্ডে রংপুরের সংগ্রহ ৪৭। নাইমের পর মালিকের সঙ্গী হন আফগান ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এই দুইয়ের ব্যাটে বিপর্যয় কাটিয়ে বড় সংগ্রহের পথে ছুটতে থাকে রংপুর।
পঞ্চাশ ছাড়িয়ে এই জুটি পেরোয় একশোর গণ্ডিও। এরমাঝেই ইনিংসের ১৪তম ওভারে তাইজুলকে ছক্কা হাঁকিয়ে ২৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন মালিক। এবারের বিপিএলে এটি মালিকের দ্বিতীয় অর্ধশত।
মেহেদী হাসান রানার তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলেন ওমরজাই। আর তাতেই ভেঙে যায় ১০৫ রানের অনবদ্য এক জুটি। ফেরার আগে ২৪ বলে ৪২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। রানা নিজের শেষ ওভার করতে এসে দখলে নেন আরও দুই উইকেট। ওভারের প্রথম বলেই ব্যক্তিগত ৯ রানে উইকেট হারান মোহাম্মদ নওয়াজ, পঞ্চম বলে রানা তৃতীয় শিকার বানান শামীম হোসেনকে (৭)।
তবে অপরাজিত থেকে যান শোয়েব মালিক। ৪৫ বল খেলে ৭৫ রানের ইনিংসটা সাজান সমান ৫ চার ও ছয়ের মারে। ৬ উইকেটে রংপুরের স্কোরবোর্ডে ১৭৯।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুর তিন ওভারে একে একে তিন উইকেট খুইয়ে ফেলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। রাকিবুল হাসানের করা প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পরের বলে নেই উসমান খানের উইকেট। সোহানের হাতে স্টাম্পড হওয়ার আগে উসমানের রান কেবল ৪।
চট্টগ্রামের জার্সি গায়ে বিপিএলের অভিষেকটা সুখকর হয়নি চট্টগ্রামের তৌফিক খান তুষারের। তিনে নামা এই ব্যাটার ফিরেছেন ডাক হয়ে। পরের ওভারে রাকিবুল হাসানের বলে সোহানের দারুণ স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে যেতে হয় খাজা নাফেকে (৬)। স্কোরবোর্ডে ১১ রান উঠতেই তিন উইকেট নেই চট্টগ্রামের।
এরপর দারউইশ রাসুলিকে নিয়ে চটগ্রাম শিবিরে স্বস্তি ফেরান অধিনায়ক শুভাগত হোম। তবে হারিস এসে ভেঙে দেন এই দুইয়ের ৬৬ রানের জুটি। রউফের বলে নওয়াজ লুফে নেন ২১ রানে থাকা রাসুলির ক্যাচ।
এরপর উইকেট এসেই ভয়ংকর হয়ে উঠেন জিয়াউর রহমান। তবে হাসান মাহমুদের করা ইনিংসের ১২তম ওভারে ৪ ও ৬ হাঁকিয়ে জিয়াউর ফেরেন বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ তুলে। তার ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংসটি সাজানো ৩ ছয় ও ১ চারে।
শুভাগত হোম দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নেন এবারের আসরে নিজের প্রথম ফিফটি। সমান ৪টি করে চার ও ছয় হাঁকিয়ে ৫২ রানে থামে হোমের ইনিংস। ব্যক্তিগত ৬ রানে রান-আউটে কাটা বিজয়কান্থ।
মেহেদী হাসান নিজের প্রথম ওভারে এসেই তুলে নেন মেহেদী হাসান রানার উইকেট। তাইজুলকে ফিরিয়ে হারিস রউফ দখলে নেন নিজের তিন নম্বর উইকেট। একাদশে থাকলেও চোট ইস্যুতে ব্যাট হাতে নামতে পারেননি আফিফ হোসেন। ফলে ১২৪ রানেই অল-আউট ঘোষণা করা হয় চট্টগ্রামকে।