

চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচেও সাকিবের ফরচুন বরিশালের দাপট। ১৩ রানের রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে সাগরিকা ছাড়ল বরিশাল। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইফতিখার আজ হাঁকিয়েছেন ফিফটি। সঙ্গে সাকিবের ক্যামিও, রিয়াদের টিকে থাকা। ১৭৪ এর বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বরাবরের মতোই দারুণ লড়াই করে ঢাকাকে জেতাতে পারলেন না অধিনায়ক নাসির।
বিপিএলের ২০তম ম্যাচে টস জিতে আগে ফরচুন বরিশালকে আগে ব্যাট করতে পাঠায় ঢাকার ডমিনেটরসের দলপতি নাসির হোসেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাইফ হাসানকে ফেরাতে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন তাসকিন আহমেদ। এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ১০ রানের বেশি পাননি সাইফ।
ব্যক্তিগত ৬ রানে থাকা এনামুল হক বিজয়কেও দারুণ ক্যাচ নিয়ে বিদায় করেন তাসকিন, এবার বোলার ছিলেন আরফাত সানি। স্কোরবোর্ডে ১৭ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে। এরপর দলীয় ৪৪ রানে চতুরঙ্গ ডি সিলভাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন নাসির হোসেন।
সাকিবকে সঙ্গ দিতে থাকা মিরাজ নাসিরের পরের ওভারে হারিয়েছেন স্টাম্প। ফেরার আগে ১৪ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে করেন ১৭ রান। আগের ম্যাচের মতো এদিনও জমে উঠেছিল সাকিব-ইফতিখারের লড়াই। ইফতিখার শুরুতে ধীরগতিতে ইনিংস টানলেও সাকিব ছিলেন মারকুটে।
নিজের প্রথম ওভারে সাকিবের কাছে ১২ রান হজম করা মুক্তার আলি পরের অ্যাকশনে এসে স্লোয়ারের ফাঁদে ফেলে সাকিবকে করেন বোল্ড। ১৭ বলে ৩০ রান নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় বরিশালের অধিনায়ককে। ৮৯ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলা বরিশাল এরপর আর কোনো বিপদ ছাড়াই স্কোরবোর্ডে ১৭৩ রান জমা করে।
৫৭ বলে ৮৪ রানের জুটি আসে ইফতিখার ও রিয়াদের ব্যাট থেকে। ফিফটি হাঁকিয়ে ইফতিখার অপরাজিত থাকেন ৫৬ রানে। ৩৪ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে সাজান এই ইনিংস। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩১ বল খেলে করেন ৩৫ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে উসমান গণি ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় ঢাকা ডমিনেটরস। তবে পাওয়ার-প্লেতেই করিম জানাত ব্রেকথ্রু এনে দেন বরিশালকে। ১৯ বলে ৩০ করা উসমান হাটেন সাজঘরের পথে। চতুরঙ্গকে ছয় হাঁকাতে যেয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ হন ১৬ রানে থাকা সৌম্য। তিন করতেই রান-আউটে কাটা পড়েন পাক অলরাউন্ডার মোহাম্মদ ইমরান।
এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ও অধিনায়ক নাসির হোসেনের ব্যাট থেকে ৩৮ বলে পূর্ণ হয় ৫০ রানের পার্টনারশিপ। দারুণ সব স্ট্রোক্স খেলে দুই ব্যাটারই ছুটছিলেন জোড়া ফিফটির দিকে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ালেন মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। ভাঙে ৬০ বলে করা ৮৯ রামের অনবদ্য জুটি। ১৪৯ কিলো. গতির বলে মিঠুনের লেগ স্টাম্প তুলে ফেলেন ওয়াসিম।
৩ রানের জন্য ফিফটি মিস করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মিঠুন। কিন্তু ৩৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন ঢাকার অধিনায়ক।শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে নাসির হোসেন খেলেছেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংস, তবে দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি সেটি।
৪ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানে থামে ঢাকা ডমিনেটরসের ইনিংস। টানা পাঁচ হার দেখল নাসির হোসেন দল। ১৩ রানের জয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করল বরিশাল।