

ওয়াহাব রিয়াজ ৪ উইকেট শিকারের পরও ঘরের মাঠে চট্টগ্রামের ১৫৭। তামিম, ইয়াসিরের দাপুটে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয়ের ফিফটি। আর তাতেই ৭ উইকেটের বড় জয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করল খুলনা টাইগার্স।
বিপিএলের ১৯তম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের আমন্ত্রণে আগে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ইনিংসের ২য় ওভারেই ম্যাক্স’ও ডাউডকে বিদায় করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তিনে নেমে আফিফ হোসেন জুটি গড়েন উসমান খানের সঙ্গে।
এই দুইয়ের দাপুটে ব্যাটিংয়ে পাওয়ার-প্লে’তে আসে ৫৪ রান। দারুণ সব স্ট্রোক্স খেলতে থাকা উসমান ছুটছিলেন ফিফটি হাঁকানোর দিকে। কিন্তু আমাদ বাটের বলে উড়িয়ে মারতে যেয়ে ক্যাচ হন ব্যক্তিগত ৪৫ রানে। আর তাতেই ভেঙে যায় ৭০ রানের অনবদ্য জুটি।
আফিফও এরপর ইনিংস টানতে পারেননি বেশিদূর। ওয়াহাব রিয়াজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ৩১ বলে করেন ৩৫ রান। পাকিস্তানি তরুণ ব্যাটার খাজা নাফির টি-টোয়েন্টির অভিষেকটা সুখকর হয়নি। ৩ বলে ৫ করা নাফিকে ফিরিয়ে ওয়াহাব এক ওভারে দখলে নেন জোড়া শিকার।
ব্যক্তিগত ২৫’এ রান-আউটে কাটা পড়েন দারউইশ রাসুলি। এরপর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে জিয়াউর রহমানের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ওয়াহাব রিয়াজ দেখান হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। বল হাতে হ্যাটট্রিক না করতে পারলেও রান আউটে ওয়াহাব ফেরান নিহাদুজ্জামানকে।
শেষ বলে ফরহাদ রেজা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চট্টগ্রামের সংগ্রহ পৌঁছে দেন ১৫৭ রানে। তাদের হারানো ৯ উইকেটের মধ্যে ৪টিই যায় ওয়াহাব রিয়াজের পকেটে।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোমের দ্বিতীয় বলেই ফিরতি ক্যাচ তুলেন মুনিম শাহরিয়ার (০)। এরপর মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে দলকে টানেন তামিম ইকবাল। প্রথম ৬ ওভারে আসে ৩৭ রান।
এই জুটিতে খুলনা পায় ১০৪ রান। জয় ফিফটি পূর্ণ করতে পারলেও তামিম আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৪৪ রানে। বেশিক্ষণ থাকেননি মাহমুদুল হাসান জয়ও। নিহাদুজ্জামানের হাতে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৪ বলে করেন ৫৯।
এরপর অধিনায়ক ইয়াসির আজম খানকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন।শেষবেলায় ইয়াসির আলির ১৭ বলে ৩৬ রানের ক্যামিও ইনিংসে ৪ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয়। তাকে সঙ্গ দেওয়া আজম খান ১৬ বলে ১৫ রানে অপরাজিত।