

হায়দ্রাবাদে বুধবার ভারতীয় দর্শকদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার মাইকেল ব্রেসওয়েল। তার লড়াকু ইনিংসে প্রায় জিতেই গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
৭ নম্বরে যখন মাইকেল ব্রেসওয়েল ব্যাট করতে নামেন তখন তার সামনে ছিল কঠিন কাজ। ২৫ ওভারে দলের দরকার ২৪০ রান, হাতে মাত্র ৫ উইকেট। মোহাম্মদ শামিকে দুই বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করা ব্রেসওয়েল আর পেছনে ফিরে তাকাননি।
দ্রুতই টম ল্যাথামকে সাজঘরে ফিরতে দেখেন ব্রেসওয়েল। তবে তাতে দমে যাননি, ভারতীয় বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে হাঁকিয়েছেন একের পর এক বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি।
শুবমান গিলের রেকর্ড গড়া ডাবল সেঞ্চুরিতে ভারত জমা করে ৩৪৯ রান। ব্রেসওয়েলের ইনিংসে গিলের ইনিংস ম্লান হতে বসেছিল।
মাত্র ৫৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ব্রেসওয়েল। যা ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৩য় দ্রুততম। এই সেঞ্চুরি দিয়ে মাহেন্দ্র সিং ধোনির বিরল রেকর্ডে ভাগ বসান ব্রেসওয়েল। ৭ বা তার পরে নেমে একাধিক ওয়ানডে সেঞ্চুরি আছে কেবল এই দুজনের।
মিচেল স্যান্টনারের সঙ্গে ৭ম উইকেটে ১৬২ রানের জুটি গড়েন ব্রেসওয়েল। যা ওয়ানডে ইতিহাসে ৩য় সেরা ৭ম উইকেট জুটি।
৪৬ তম ওভারে স্যান্টনার ও শিপলিকে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ। ৪ ওভারে তখনও নিউজিল্যান্ডের দরকার ৫৬, হাতে ২ উইকেট। ব্রেসওয়েল দারুণ ব্যাটিংয়ে তা নামিয়ে আনেন ১ ওভারে ২০ রানে।
শেষ ওভারও তিনি শুরু করেন শারদুল ঠাকুরকে ছক্কা হাঁকিয়ে। তবে তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়, দলও হারে।
View this post on Instagram
৭৮ বলে ১৪০ রান ৭ বা তার পরে নেমে ওয়ানডেতে ৩য় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। কেবল লুক রনকি (৯৯ বলে ১৭০*, বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা) ও মার্কাস স্টয়নিসের (১১৭ বলে ১৪৬*, বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড) এর চেয়ে বেশি রান আছে। ৭৪ বলে ১৪০ রানের ইনিংস আছে শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরারও, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।