

বিপিএলে হেসেই চলছে লিটন দাসের ব্যাট। কঠোর পরিশ্রমের তুলনায়, স্বল্প পরিশ্রম করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন লিটন। হার্ড ওয়ার্কার নয়, স্মার্ট ওয়ার্কার হয়ে ক্রিকেটটাকে ভাবেন লিটন। এক টুর্নামেন্টের পর আরেক টুর্নামেন্টে ভালো করতে অবকাশ যাপনে যান, ব্যাটের ক্ষুধা বাড়াতে।
অবকাশই লিটন দাসের কর্মের প্রেরণা, এনে দেয় ব্যাটে সৌন্দর্য। কিভাবে নিজের মানসিক অবস্থা ঠিক রাখেন লিটন দাস,
‘ধরেন একটা যদি সিরিজ যায়, যেকোনো ফরম্যাট, বিপিএল খেলবেন; এতগুলো ম্যাচ খেললে মানসিকতার দিক দিয়ে বলেন বা যেকোনো দিকে…ব্রেইনে এফেক্ট পড়ে। আমি সবসময় যেকোনো সিরিজের পর এক দেড় সপ্তাহ বিরতি নেই। বলতে পারেন ফ্যামিলি টাইম বা যেকোনো কিছু…ক্রিকেটের বাইরে রাখার চেষ্টা করি। এরপর যখন ফিরে আসি, ওই ক্ষুধাটা থাকে।’
বাইশগজের লিটন বাস্তব জীবনেও বেশ স্মার্ট। ‘পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি’;এই উক্তিটি বেশ ভালো ভাবেই মানেন লিটন দাস। তবে লিটনের মূল মন্ত্র হল, রিল্যাক্স মুড।
‘বলবো না যে হার্ড ওয়ার্ক করি না। হয়তো যতটা প্রস্তুতি দরকার, ততটাই করি। একেকজন মানুষের চিন্তা ধারা একেকরকম। কাজ, ওয়ার্ক এথিক আরেকরকম। আমার মনে হয় না আমি ওরকম। আমি একটু রিল্যাক্সে থাকতে বেশি পছন্দ করি।’
সৌভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে কোনো মানুষের জন্ম হয় না। কর্মের মাধ্যমে তার ভাগ্য গড়ে নিতে হয়।
‘দেখেন, প্রতিটা ক্রিকেটারই তো কিছু না কিছু না দিকে হার্ড ওয়ার্ক করে। অবশ্যই আমারও হার্ড ওয়ার্ক আছে। আমার মনে হয় মাইন্ড সেট-আপ ও খেলায় যে জড়িয়ে থাকা নিজে থেকে। যেমন ধরেন, আপনি যখন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবেন, নিজের নামের পেছনে অনেক কিছু থাকে। পারফর্ম করতে হবে, না করলে দল থেকে বাদ পড়ার সুযোগ থাকে। মিডিয়া, ফ্যানস, এমনকি পরিবারের সদস্যরাও আপসেট থাকে খারাপ করলে।’