

চট্টগ্রামের পিচে ওয়াহাব রিয়াজের দাপুটে বোলিং! পাক পেসারের ৪ উইকেট শিকারের ম্যাচে রংপুর রাইডার্স গুটিয়ে যায় স্কোরবোর্ডে ১২৯ করতেই। জবাব দিতে নেমে তামিম ইকবালের ফিফটির সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শন; ৯ উইকেটের বড় জয় খুলনার।
টানা তিন ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের স্বাদ পেল খুলনা টাইগার্স। ওয়াহাব রিয়াজের ৪ উইকেট শিকার পর তামিম ইকবালের ব্যাটে হার-না-মানা ৬০ রানের ইনিংস। সহজেই রংপুরকে হারালো খুলনা। শেষে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন জয়!
বিপিএলের ১৫ তম ম্যাচ টস জিতে রংপুর রাইডার্সকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান খুলনার দলপতি ইয়াসির চৌধুরী। নাহিদুল ইসলাম, ওয়াহাব রিয়াজ ও আমাদ বাটদের তোপের সামনে রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়ে রংপুরের ব্যাটিং লাইন। কেবল ৪ ব্যাটার ছুঁয়েছেন দুই অংকের ঘর। ফলে ১২৯ রান করতেই গুটিয়ে যায় দলের ইনিংস।
খুলনা টাইগার্সের পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ মাত্র ১৪ রান খরচায় দখলে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া আমাদ বাট ৩ উইকেট শিকার করেন ১৬ রানের বিনিময়ে। শুরুর দুই উইকেট নাহিদুল ইসলামের ঝুলিতে।
নাহিদুল ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই ব্রেকথ্রু এনে দেন। ডাক হয়ে ফেরেন রাইডার্স ওপেনার রনি তালুকদার। পরের ওভার করতে এসে নাহিদুল ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ফেরান তিনে নামা মোহাম্মদ নাইম শেখকে। সমান ১ ছয় ও চারে নাইমের সংগ্রহ ১৩। এরপর দলীয় ৫১ রানে পারভেজ হোসেন ইমনকে বিদায় করে উইকেট শিকার শুরু করেন ওয়াহাব।
২৪ বলে ২৫ করে ইমন প্যাভিলিয়নে গেলে উইকেটে আসেন নতুন অধিনায়ক শোয়েব মালিক। ১৪ বল খেলে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি রংপুরের ক্যাপ্টেন। এরপর একা হাতে লড়াই চালান মেহেদী হাসান। তার ৩৮ রানের ইনিংসটাই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ।
মেহেদী বিদায় নিতেই একে একে উইকেট হারান মোহাম্মদ নওয়াজ (৫), আজমতউল্লাহ ওমরজাই (৯)। শূন্যহাতে হারিস রউফ হয়েছেন রান-আউটের শিকার। শেষদিকে রাকিবুল হাসানের ১২ রানের কল্যাণে ১২৯’এ যেয়ে পৌঁছায় রংপুর রাইডার্সের সংগ্রহ।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম পাওয়ার-প্লেতে মুনিম শাহরিয়ারের উইকেট হারালেও শেষে শক্ত অবস্থান ধরে রেখে লড়ছে রাইডার্স! ওপেনিং জুটিতে আসে ৪১ রান, মুনিম করেন ২১। মাহমুদুল হাসান জয় এসে তামিম ইকবালের সঙ্গে গড়েন পঞ্চাশ রানের জুটি।
এই জুটিতেই জয়ের পথে এগিয়ে যায় খুলনা টাইগার্স। এরমাঝেই তামিম ইকবাল পূর্ণ করছেন ফিফটি, ৩৫ বলে। এবারের বিপিএল আসরে এটিই তার প্রথম পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস।
শেষপর্যন্ত তামিম ইকবাল ৬০ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে তরুণ মাহমুদুল হাসান জয় খেলেন ৩৮ রানের ইনিংস। ফলে ১০ বল হাতে রেখেই খুলনা নিজেদের প্রথম জয় পেল ৯ উইকেটে।