

বিপিএলে রীতিমতো উড়ছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। জয়রথ যেন থামছেই না মাশরাফির দলের। বিপরীতে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর টানা তিন হার দেখল নাসির হোসেনের ঢাকা ডমিনেটরস। আজ ঢাকার বিরুদ্ধে পাওয়া ৫ উইকেটের জয়ে টেবিলের শীর্ষেই রইল সিলেট স্ট্রাইকার্স।
ঢাকা ডমিনেটরসের করা ১২৮ রান পাঁচ উইকেট হারিয়ে টপকায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। টানা পাঁচ জয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার দলের অবস্থান টেবিলের টপে।
চট্টগ্রামে বিপিএলের ১৩তম ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে টস জিতেন ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ১২৮ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা ডমিনেটরস। সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক নাসির হোসেন।
ওপেনিংয়ে নেমে সৌম্য সরকারের গোল্ডেন ডাক। আরেক ওপেনার উসমান গনির ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। তিনে নামা দিলশান মুনাবিরা করেন ১৭ রান। বিপিএলে অভিষেক সুখকর হয়নি রবিন দাসেরও; তিনিও ফিরেছেন গোল্ডেন ডাক হয়ে।
ধীরগতির ইনিংসে মোহাম্মদ মিঠুনের ১৫ রান। এরপর আরিফুল হককে নিয়ে লড়াই চালিয়েছেন অধিনায়ক নাসির। এই দুইয়ের জুটিতে দলের গণ্ডি পেরোয় একশো। ১৬ বলে ২০ করেন আরিফুল। আর ইনিংসের শেষ বলে উইকেট হারান নাসির। ৩১ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে সাজানো নাসিরের ইনিংস। ফলে ৭ উইকেটে ১২৮ রানের সংগ্রহ ঢাকার স্কোরবোর্ডে।
বল হাতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ইমাদ ওয়াসিম ২০ রান খরচায় শিকার করেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সিলেট স্ট্রাইকার্সের দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ও নাজমুল হোসেন শান্ত’র ব্যাটে দারুণ শুরু। উদ্বোধনী জুটিতেই সিলেটের স্কোরবোর্ডে ৫২ রান। ২০ বলে ১২ রান করে নাসিরের হাতে বোল্ড হন শান্ত। এই ওভারের শেষ বলে নাসির ফেরান হারিসকেও (৪৪)।
৯তম ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে ঢাকাকে ব্রেকথ্রু এনে দেন অধিনায়ক নাসির। পরের ওভারে আরাফাত সানির শিকার তিনে নামা জাকির হাসান (১)। এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েন ইমাদ ওয়াসিম। তবে রান-আউটে কাটা পড়ে ইমাদকে ফিরতে হয় ব্যক্তিগত ১১ রানে।
এরপর মুশফিকের সঙ্গী হন থিসারা পেরেরা। ২৫ বলে ২৭ রান করা মুশফিককে বোল্ড করে ফেরান তাসকিন আহমেদ। তবে পেরেরার ক্যামিওতে জয়ের বন্দরে যেতে কষ্ট হয়নি সিলেটের। শেষপর্যন্ত পেরেরা ১১ বলে ২১ ও আকবর আলি ৫ বলে ১০ রান নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
৪ বল বাকি থাকতেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৫ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়। বল হাতে দাপট দেখানো সিলেটের পাক অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।