

ঘরের মাঠে প্রথম জয় দেখল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আফিফ হোসেন ধ্রুব আর দারউইশ রাসুলির ব্যাটিং ঝড়ের সামনে আল-আমিন, তাসকিনরা যেন অসহায়। জোড়া ফিফটিতে ৮ উইকেটের বড় জয় পেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
চলমান বিপিএলের ১২তম ম্যাচে চট্টগ্রামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে নাসির হোসেনের ঢাকা। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের সঠিক ফায়দা নেন ঢাকা ডমিনেটরসের দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও উসমান গনি। নিহাদুজ্জামান চট্টগ্রামকে ব্রেকথ্রু এনে দেন ২৮ রান করা মিজানুরকে ফিরিয়ে। ভাঙে ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
নিহাদুজ্জামান নিজের পরের ওভারে এসে ফিফটি করতে দেননি উসমান গনিকে। দ্রুতই বিদায় নেন সৌম্য সরকার। অধিনায়ক শুভাগত হোমের শিকার হওয়ার আগে সৌম্য করেন ৪ রান। ১ ছক্কায় ৯ রানের বেশি করতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন।
এরপর আরিফুল হককে নিয়ে এগোতে থাকেন অধিনায়ক নাসির হোসেন। দারুণ খেলতে থাকা নাসির উইকেট হারান মেহেদী হাসান রানার বলে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২২ বলে ৩০ করেন নাসির। আরিফুল হক শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে দেড়শ রানের গণ্ডি টপকিয়ে দেন। আরিফুলের ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংসে চড়ে ৬ উইকেটে ১৫৮ ঢাকা ডমিনেটরসের সংগ্রহে।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই বোল্ড আল-আমিন জুনিয়র। এই ওপেনার ডাক হয়ে ফিরে গেলে উসমান খানকে সঙ্গ দিতে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। কিন্তু আরাফাত সানি নিজের শুরুর ওভার করতে এসেই তুলে নেন উসমান খানের উইকেট। বাউন্ডারি লাইনে আমির হামজার হাতে ক্যাচ তুলে ফেরার আগে উসমানের ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২২ রান।
দারুণ সব স্ট্রোক্স খেলে ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন আফিফ হোসেন। অর্ধশত রান করার পথে পাঁচ বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারি হাঁকান আফিফ। ১২ ওভারে একশো করা চট্টগ্রামকে শেষ ৪৮ বলে করতে হত ৫৯ রান।
দারউইশ রাসুলি ও আফিফ হোসেন ধ্রুব শেষদিকে চালান তান্ডব। ইনিংসের ১৭তম ওভারে আল-আমিন হোসেনকে ৩ ছয় ও ১ চার হাঁকিয়ে মোট ২৪ রান তুলে নেন রাসুলি। ২০ বলে ধীরগতিতে প্রথম ১৩ রান করা রাসুলি ৩৩ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে আসেন
আফিফ-রাসুলির গড়া ৬৫ বলে ১০৩ রানের পার্টনারশিপের সামনে একেবারে অসহায় হয়ে পড়ে ঢাকার বোলাররা। ফলে ১৪ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম। ৫২ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ।