

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এক সময়ের হার্ড-হিটার ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান আজ বিপিএলে ফিরলেন সেই পুরানো রূপে। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে ১ টেস্ট, ১৩ ওয়ানডে ও ১৪ টি-টোয়েন্টি খেলা জিয়া এই বয়সে ফিটনেস ধরে রেখে ক্রিকেটটা এনজয় করে যাচ্ছেন। তবে পাওয়ার হিটিং ইস্যুতে উইকেটের দায় দিয়ে জিয়া করলেন মিরপুরের প্রশংসা।
আজ বন্দরনগরীতে জিয়াউর রহমানের ব্যাটে উঠেছে ঝড়! খেলেন হার-না-মানা ৪৭ রানের ইনিংস। মাত্র ২৫ বলে ৫ ছয় ও ৩ চারের মারে জিয়াউরের এই অনবদ্য ইনিংসের পরও ফরচুন বরিশালের কাছে হেরেছে তার দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
সবশেষ ২০১৪ সালের জুনে ভারতের বিপক্ষে মিরপুরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন জিয়াউর। বর্তমান সময়ে তার জাতীয় দলে ফেরার দরজা যেন পুরোপুরিভাবেই বন্ধ। নিজেকে আর কতদূর নিয়ে যেতে চান জিয়া। ৩৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার জিয়াউর ক্যারিয়ার নিয়ে যা ভাবছেন,
‘সবই আল্লাহ জানে। আল্লাহ কতদূর আমাকে নিয়ে যাবে। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি আমার ফিটনেস ধরে রাখার জন্য। পারফর্ম করার জন্য। সবই আল্লাহর হাতে। আমার হাতে কিছুই নেই। ’
‘জাতীয় দল ব্যতিক্রম জিনিস। ওটা আমাদের কারোরই হাতে নেই। আমার হাতে যেটা আছে ফিটনেস ভালো রেখে ভালো পারফর্ম করা। আমি আসলে এটাই ফোকাস করছি। আসলেই আমার বয়স হয়েছে। পারফর্ম করার তো কোনো বিকল্প নেই। জাস্ট ইনজয় টু প্লে।’
এবারের বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ লো-স্কোরিং হওয়ার পর মিরপুরের পিচ যেন তার নিজস্ব থিওরির পুরোপুরি বিপরীত রূপ নিল। চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ইনিংসেই ২০২ রানের বড় সংগ্রহ পায় ফরচুন বরিশাল। এর আগে মিরপুরে সিলেট স্ট্রাইকার্স করেছিল ২০১ রান। তৃতীয় সর্বোচ্চটিও সিলেটেরই; বরিশালের করা ১৯৪ সিলেট টপকায় ১৯ ওভারে; ৪ উইকেটে ১৯৬।
পাওয়ার হিটিং ইস্যুতে জিয়াউরের বক্তব্য, ভালো উইকেটের নেই বিকল্প। মিরপুরের উইকেট ও তরুণ হৃদয়-জাকিরদের প্রশংসায় ভাসিয়ে জিয়া বলেন,
‘পাওয়ার হিটিং আমি যেটা অনুভব করি, মিরপুরের শেষ দুইটা ম্যাচ রান ১৮০-১৯০ হয়েছে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা অনেক ভালো খেলেছে। তৌহিদ হৃদয়, জাকির ওরা অনেক ভালো খেলেছে। আমি যেটা মনে করি, পাওয়ার হিটিংয়ে আমাদের সমস্যা হচ্ছে উইকেট। উইকেট ভালো না হলে আপনি পাওয়ার হিট করতে পারবেন না। ’
চলমান বিপিএলের ঢাকা পর্বে দেখা গেল চার-ছক্কার খেলা। কত, শত সমালোচনার মধ্যেও মিরপুর হোম অফ ক্রিকেটের ব্যাটিং স্বর্গ দেখে মুগ্ধ জিয়াউর। তার মতে, এমন উইকেটে খেলা হলে পাওয়ার হিটিংয়ে উন্নতি হবে। টি-টোয়েন্টির ক্রিকেটার তৈরি হবে।
‘ব্যাটে সুন্দর বল আসলেই আপনি হিট করতে পারবেন। মিরপুরের উইকেট সুন্দর ছিল। রান কিন্তু ঠিকই হয়েছে। এখানে সুন্দর উইকেট। অভ্যাসটা গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট ভালো হবে। অটোমেটিক হিট ভালো হবে। উইকেট ভালো না হলে হিট ভালো হবে না। যতই টেকনিক ঠিক করেন না কেন। কোনো লাভ নেই। ব্যাটে বল আসতে হবে।’